জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহবাগে জুট ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় শাজাহান খানকে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ।
এ সময় সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান নির্বাচন করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচন অবশ্যই করবো। নির্বাচন কেন করবো না।
সোমবার শাজাহান খানকে আদালতে হাজির করে এজলাসে নেওয়ার পথে একথা বলেন শাজাহান খান।
গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার মাইনুল ইসলাম খান পুলক শাজাহান খানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন ২১ এপ্রিল ধার্য করেন।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,‘অবশ্যই নির্বাচন করবো।’ এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর হাজতখানা নেওয়ার পথে শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তোমরা কিছু বলো না। শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।’
এ সময় আবারও বলেন, ‘রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।’
এর আগে রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দেন শাজাহান খান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি সত্য বলেছি। যা ঘটেছে তাই বলেছি।’ তাদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে বলে দাবি করে শাজাহান খানের।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট শাহবাগ থানাধীন চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।