ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

তর্কের জেরে ডিসি অফিসের কর্মচারীকে কামড়ে দিলো প্রতিবন্ধী,

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

ডিসি অফিসের কর্মচারীদের কথা কাটাকাটির জেরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিবন্ধী কার্ড চাইতে এসে এক সেবাগ্রহীতার সাথে । ডিসি অফিসের দুই কর্মচারীর মাথায় ও হাতে কামড়ে দিয়েছে বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সেবাগ্রহীতা এক প্রতিবন্ধী । পরে দল বেঁধে ওই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। সবশেষ বিষয়টি মীমাংসা করতে এসে ডিসি অফিসের কর্মচারীদের হাতে আটক হন পাঁচ শিক্ষার্থী। 

গত বুধবার (২১ মে) দুপুরে যশোর ডিসি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ডিসি অফিসের কর্মচারীদের হাতে আটক হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী যশোর শহরের মুসলিম একাডেমি, জিলা স্কুল ও যশোর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তি সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে কটুকথা বলেন। তখন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কর্মচারীরা তাকে হৈ-চৈ করতে নিষেধ করলে বাগ্‌বিতণ্ডার সূত্রপাত হয়। তর্কের এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তি স্ক্র্যাচ দিয়ে বাবুল আক্তার নামে এক কর্মচারীকে মাথায় আঘাত করে। বাবুল আক্তারকে বাঁচাতে আসলে আরেক কর্মচারীর গায়ে কামড় দিয়ে বসেন। এ ঘটনার পর অন্য কর্মচারীরা এসেও ওই প্রতিবন্ধীকে মারধর করে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের অফিস সহকারী আবু হাসান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী লোকটি এসেছিল কার্ডের জন্য। আমরা তাকে বুঝিয়েছি। তিনি তারপরও চিৎকার করে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তাকে বলি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্যারেরা আছে, চুপ করেন। তারপরও গালিগালাজ দিতেই থাকে। তার কাছে গেলে সে আমাদের এক সহকর্মীর মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর শুরু করে; শেষে কামড় দেয়। পরে অফিসের সবাই মিলে তাকে নিচে নামিয়ে দেয়। আমরা প্রতিবন্ধীকে মারধর করিনি। কিন্তু এ ঘটনার জেরে শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর হামলা চালায়।’

শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোলযোগের এক ফাঁকে প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর ত্যাগ করেন বলেন স্থানীয়রা জানান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাম মনিরুল। তিনি চাঁচড়া এলাকার খোরশেদের ছেলে।

নেজারত শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহিদুজ্জামান বলেন, ‘১০-১৫ জন শিক্ষার্থী আমাদের কক্ষে হামলা চালায়। তাদের মধ্যে একজনের হাতে বাঁশ ছিল। সে আমাদের কক্ষের দরজা ও জানালায় আঘাত করে। এগুলো রড দিয়ে বানানো বলে ভাঙচুরের দৃশ্যত ক্ষত হয়নি। এমনকি তারা আমাদের কক্ষে এসেও কয়েকজনের উপর হামলা চালায়। পাঁচজনকে আটকে রাখতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।’

আটক হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী জানান,‘আমরা ডিসি অফিস চত্বরে বসে ছিলাম। দেখি অসহায় প্রতিবন্ধী একটা মানুষকে মারধর করছে কিছু লোক। এসে শুনি তারা জেলা প্রশাসকের কর্মচারী। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। প্রতিবন্ধীর দোষ ছিল কিনা সেটা জানি না। তবে হামলা করা ভুল হয়েছে বলে তারা গণমাধ্যমের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন ওই পাঁচ শিক্ষার্থী।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবুল হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে আটক থাকা পাঁচ শিক্ষার্থীকে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের অফিস রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

তর্কের জেরে ডিসি অফিসের কর্মচারীকে কামড়ে দিলো প্রতিবন্ধী,

আপডেট সময় ১১:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

ডিসি অফিসের কর্মচারীদের কথা কাটাকাটির জেরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিবন্ধী কার্ড চাইতে এসে এক সেবাগ্রহীতার সাথে । ডিসি অফিসের দুই কর্মচারীর মাথায় ও হাতে কামড়ে দিয়েছে বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সেবাগ্রহীতা এক প্রতিবন্ধী । পরে দল বেঁধে ওই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। সবশেষ বিষয়টি মীমাংসা করতে এসে ডিসি অফিসের কর্মচারীদের হাতে আটক হন পাঁচ শিক্ষার্থী। 

গত বুধবার (২১ মে) দুপুরে যশোর ডিসি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ডিসি অফিসের কর্মচারীদের হাতে আটক হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী যশোর শহরের মুসলিম একাডেমি, জিলা স্কুল ও যশোর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তি সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে কটুকথা বলেন। তখন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কর্মচারীরা তাকে হৈ-চৈ করতে নিষেধ করলে বাগ্‌বিতণ্ডার সূত্রপাত হয়। তর্কের এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তি স্ক্র্যাচ দিয়ে বাবুল আক্তার নামে এক কর্মচারীকে মাথায় আঘাত করে। বাবুল আক্তারকে বাঁচাতে আসলে আরেক কর্মচারীর গায়ে কামড় দিয়ে বসেন। এ ঘটনার পর অন্য কর্মচারীরা এসেও ওই প্রতিবন্ধীকে মারধর করে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের অফিস সহকারী আবু হাসান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী লোকটি এসেছিল কার্ডের জন্য। আমরা তাকে বুঝিয়েছি। তিনি তারপরও চিৎকার করে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তাকে বলি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্যারেরা আছে, চুপ করেন। তারপরও গালিগালাজ দিতেই থাকে। তার কাছে গেলে সে আমাদের এক সহকর্মীর মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর শুরু করে; শেষে কামড় দেয়। পরে অফিসের সবাই মিলে তাকে নিচে নামিয়ে দেয়। আমরা প্রতিবন্ধীকে মারধর করিনি। কিন্তু এ ঘটনার জেরে শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর হামলা চালায়।’

শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের গোলযোগের এক ফাঁকে প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর ত্যাগ করেন বলেন স্থানীয়রা জানান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নাম মনিরুল। তিনি চাঁচড়া এলাকার খোরশেদের ছেলে।

নেজারত শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহিদুজ্জামান বলেন, ‘১০-১৫ জন শিক্ষার্থী আমাদের কক্ষে হামলা চালায়। তাদের মধ্যে একজনের হাতে বাঁশ ছিল। সে আমাদের কক্ষের দরজা ও জানালায় আঘাত করে। এগুলো রড দিয়ে বানানো বলে ভাঙচুরের দৃশ্যত ক্ষত হয়নি। এমনকি তারা আমাদের কক্ষে এসেও কয়েকজনের উপর হামলা চালায়। পাঁচজনকে আটকে রাখতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।’

আটক হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী জানান,‘আমরা ডিসি অফিস চত্বরে বসে ছিলাম। দেখি অসহায় প্রতিবন্ধী একটা মানুষকে মারধর করছে কিছু লোক। এসে শুনি তারা জেলা প্রশাসকের কর্মচারী। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। প্রতিবন্ধীর দোষ ছিল কিনা সেটা জানি না। তবে হামলা করা ভুল হয়েছে বলে তারা গণমাধ্যমের কাছে ভুল স্বীকার করেছেন ওই পাঁচ শিক্ষার্থী।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবুল হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে আটক থাকা পাঁচ শিক্ষার্থীকে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের অফিস রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।