বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল দেশের মাটিতে পা রাখার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বোর্ড পরিচালক পর্ষদের সভা ডেকেছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ পালনের পর আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গিয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম। সেখানে আইসিসিতে পুরোনো চাকরি সংক্রান্ত কাজ ছিল তার। তা চুকিয়েই ব্যস্ত সময় কেটেছে। সেখানে থাকাকালে গত শনিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহে ঢাকায় ফেরার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কয়েকদিন আগেই চলে এসেছেন তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেল ৩ টায় বোর্ডসভা শুরু হবে।
জুন মাসেই টেস্ট রজতজয়ন্তীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বিসিবি সভাপতি।
রজতজয়ন্তীর আয়োজনটা কেমন হবে, তা বোর্ডসভায় আলোচনার পর চূড়ান্ত হবে।
তবে প্রাথমিকভাবে বুলবুল জানিয়েছেন, টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সময় দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত, নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত সবাইকে সম্মান ও মূল্যায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী ওই সময়ের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ক্রিকেটার, প্রশিক্ষক, সংগঠক, পৃষ্টপোষক ও সাংবাদিকদের বিশেষ ভাবে সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে বুলবুলের।
পুরো রজতজয়ন্তীতে আসলে কী কী হবে, অনুষ্ঠান কীভাবে সাজানো হবে- তার রূপরেখা চূড়ান্ত হবে আজ। বিসিবি সভাপতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সে সিদ্ধান্ত ও রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সব জানানো হবে। সেটা আগামী দু’একদিনের মধ্যেই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৫ বছর আগে দেশের ক্রিকেট অগ্রযাত্রার স্বপ্ন-সারথীদের তালিকা করে তাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা জানানোর খবরে অনেকেই পুলকিত। সবার এক কথা, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সময় ও অংশে যারা কাজ করেছেন, ক্রিকেটের উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন, তাদের সম্মাননা জানানো হবে খুবই ভালো কাজ।
নতুন প্রজন্ম জানতে চায়, কারা টেস্ট পূর্ববর্তী সময় দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করেছেন। সে নামগুলো এবার নতুন করে জানা হবে।
পাশাপাশি কিছু প্রশ্নও উঠেছে। তা হলো- দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ২৫ বছর আগে বোর্ডের সঙ্গে জড়িত ক্রিকেটার, কোচ, সংগঠক, পৃষ্টপোষকদের সবাইকে এক মঞ্চে ওঠানো সম্ভব? সাবেক বিসিবি সাধারণ সম্পাদক ও এসিসি প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হক ছাড়া টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পেছনে যার ভূমিকা ছিল, সেই সাবের হোসেন চৌধুরী এবং প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়কে কি মঞ্চে ডাকা সম্ভব হবে?