চুয়াডাঙ্গায় যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা মিলন আলী লিমনকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। লিমন সদর পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।
গত সোমবার (২৩ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মিলন আলীকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সই করেছেন। বহিষ্কৃত নেতার কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিলন আলী লিমন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল হোসেনের ছেলে। তাকে অস্ত্র আইনে করা মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ভোর ৪টার দিকে লিমনের চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার এতিমখানা রোডের বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে তার বাড়ি থেকে একটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড গুলি, একটি এন্ড্রয়েড, চারটি বাটন মোবাইল ফোন সেট এবং ধারালো চারটি দেশীয় চাপাতি, একটি চাইনিজ ছুরি এবং একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ওই দিন সকাল ৬টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, মিলন আলী লিমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলার পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে। ঢাকার বংশাল থানায় তার নামে পৃথক আরও একটি মামলা আছে।