ময়মনসিংহ , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন সচিবকে বদলি তিন মন্ত্রণালয়ের কামাল উদ্দিন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন বিগত তিন নির্বাচনের কেউ এবার দায়িত্বে থাকবেন না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের বললেন তাজুল ইসলাম কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ কুমিল্লা সীমান্তে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পিআর পদ্ধতির নামে আন্দোলন চলছে বললেন মির্জা ফখরুল পাল্টাপাল্টি হামলার পর আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ৭ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার ঢাকায় সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছিলেন বললেন জামায়াত আমির প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ধ্বংসের পথে কুষ্টিয়া সুগার মিল অযত্নে-অবহেলায়

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১১:২৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহিত ছবি

অনলাইন নিউজ-

অযত্ন অবহেলায় অর্ধশতাব্দীর বয়স ভারে ন্যুব্জ যান্ত্রিক ত্রুটি ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার অভিশাপ নিয়ে কুষ্টিয়া সুগার মিলের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে। এরপর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটির দিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন কেবলই ধ্বংসস্তূপে রূপ লাভের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। এভাবেই বলছিলেন বন্ধ হয়ে যাওয়া কুষ্টিয়া চিনি কলের কর্মহারা ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেই কারখানার ইনচার্জ জানালেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারখানা ভবনগুলির বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। উনারা পরিদর্শনও করে গেছেন কয়েকবার। এসব রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই মেরামত করা হবে।

কুষ্টিয়া চিনিকলের দাপ্তরিক সূত্রে জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি সুপারিশপত্রে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে জানানো হয় চিনি উৎপাদন, আখের জমি হ্রাসকরণ, মিলের ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা, লোকসান ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় উর্ধ্বগামী হওয়ায় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে কুষ্টিয়া চিনিকলসহ দেশের ৬টি চিনিকল ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে আখ মাড়াই মৌসুমে উৎপাদন স্থগিত করে সরকার।সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল, চলতি অর্থবছরে আখ মাড়াই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সম্ভাব্য অর্থ ব্যয় করা লাগবে ৫৩৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে চিনি মোলাসেসসহ বায়োপ্রডাক্ট খাত থেকে ২৫০ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা আয় হলেও অবশিষ্ট ২৮৩ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা সরকার থেকে ভর্তুকি দেয়া লাগবে।

ধ্বংসের পথে কুষ্টিয়া সুগার মিল অযত্নে-অবহেলায়-

উল্লেখ্য, এমনিতেই পূর্ববর্তী অর্থ বছরে চাষিদের আখ ক্রয়ে ভর্তুকি বাবদ ১২৩ কোটি টাকা অনুমোদন হলেও তা ছাড় না করায় আখ চাষিদের পাওনাদি, শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বকেয়ার বোঝা চেপেই থাকে চিনিকলের ঘাড়ে। বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে অলাভজনক বা লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কুষ্টিয়া চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ রাখা অনিবার্য হয়ে পড়ে।চাষাবাদে অতি উর্বর কুষ্টিয়ার মাটিতে আখ চাষের সেরা মানের পরিবেশ থাকায় ১৯৬১ সালে ২২১ দশমিক ৪৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া চিনিকল। ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছর থেকে শুরু হয় আখ মাড়াই কার্যক্রম। পরে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়াত্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।

ধ্বংসের পথে কুষ্টিয়া সুগার মিল অযত্নে-অবহেলায়-

কর্তৃপক্ষ দোষ দেয় শ্রমিক সংগঠনকে শ্রমিকরা দোষারোপ করে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে। বন্ধ হওয়া কারখানাটি এখন আস্তে আস্তে মাটিতে মিশে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। এতো বড় একটা কারখানা চোখের সামনে ধ্বংস স্তূপ হয়ে যাচ্ছে কারখানার সেডগুলি খসে পড়ে যাচ্ছে অথচ দেখার কেউ নেই।আখ চাষি জালাল মন্ডল আক্ষেপ করে বলেন, ক্ষতিকর জেনেও আমরা জমিতে বাৎসরিক আর্থিক ফসল আখচাষ করে মিলে এসে হয়রানি ভোগান্তির কারণে আখ চাষ মাঠ থেকে তুলে দেয় কৃষকরা। তামাক কোম্পানিরা যেখানে টাকা, সার বীজসহ সব রকম সাহায্য করে চাষিদের চিনিকলের লোকজন তার সম্পূর্ণ উল্টা। সে জন্যই মিলটার এই দুরবস্থা।

ধ্বংসের পথে কুষ্টিয়া সুগার মিল অযত্নে-অবহেলায়-
শ্রমিক উন্নয়ন সহ-সভাপতি সাগর আহমেদ বলেন, কোন শ্রমিক কখনও চাইবে না তার কর্মপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাক। এখানে কেবলমাত্র শ্রমিকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকলেই চলবে না। একই সাথে চিনিশিল্প কর্পোরেশনকে আন্তরিক সুদৃষ্টি দিতে হবে। কর্পোরেশনের দায়িত্বহীনতার ফলে প্রতি বছরই উৎপাদিত চিনি গুদামজাত থেকে অবিক্রিত থাকায় একদিকে শ্রমিক তার বকেয়া বেতন, বোনাস, ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে অন্যদিকে কৃষক তার আখের দাম পেতে হয়রানির মুখে আখচাষে নিরুৎসাহিত, আবার অর্থসংকটে মিলের সংস্কার কাজও আটকে যাওয়া, সবমিলিয়ে এক অনিশ্চিত শংকায় দিন কাটছে।

বন্ধ হয়ে যাওয়া কুষ্টিয়া চিনিকলের দেখভালের দায়িত্বরত (কারখানা ইনচার্জ) হাবিবুর রহমান সকল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানা কারণে কারখানা ভবনের এই জরাজীর্ণতা কথা চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। উনারা কয়েকবার এসে পরিদর্শনও করে গেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি মেরামতের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ হয়নি। অর্থ বরাদ্দ পেলেই ভেঙে যাওয়া বা উড়ে যাওয়া চালাসহ ক্ষতিগ্রস্ত ভবন সংস্কার করা হবে।

 

আরো পড়ুন……

চরফ্যাসনে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্ধ বিদ্যুৎসংযোগ।
 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তিন সচিবকে বদলি তিন মন্ত্রণালয়ের

ধ্বংসের পথে কুষ্টিয়া সুগার মিল অযত্নে-অবহেলায়

আপডেট সময় ১১:২৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
অনলাইন নিউজ-

অযত্ন অবহেলায় অর্ধশতাব্দীর বয়স ভারে ন্যুব্জ যান্ত্রিক ত্রুটি ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনার অভিশাপ নিয়ে কুষ্টিয়া সুগার মিলের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে। এরপর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটির দিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন কেবলই ধ্বংসস্তূপে রূপ লাভের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। এভাবেই বলছিলেন বন্ধ হয়ে যাওয়া কুষ্টিয়া চিনি কলের কর্মহারা ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেই কারখানার ইনচার্জ জানালেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারখানা ভবনগুলির বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। উনারা পরিদর্শনও করে গেছেন কয়েকবার। এসব রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই মেরামত করা হবে।

কুষ্টিয়া চিনিকলের দাপ্তরিক সূত্রে জানা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি সুপারিশপত্রে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে জানানো হয় চিনি উৎপাদন, আখের জমি হ্রাসকরণ, মিলের ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা, লোকসান ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় উর্ধ্বগামী হওয়ায় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে কুষ্টিয়া চিনিকলসহ দেশের ৬টি চিনিকল ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে আখ মাড়াই মৌসুমে উৎপাদন স্থগিত করে সরকার।সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল, চলতি অর্থবছরে আখ মাড়াই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সম্ভাব্য অর্থ ব্যয় করা লাগবে ৫৩৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে চিনি মোলাসেসসহ বায়োপ্রডাক্ট খাত থেকে ২৫০ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা আয় হলেও অবশিষ্ট ২৮৩ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা সরকার থেকে ভর্তুকি দেয়া লাগবে।

ধ্বংসের পথে কুষ্টিয়া সুগার মিল অযত্নে-অবহেলায়-

উল্লেখ্য, এমনিতেই পূর্ববর্তী অর্থ বছরে চাষিদের আখ ক্রয়ে ভর্তুকি বাবদ ১২৩ কোটি টাকা অনুমোদন হলেও তা ছাড় না করায় আখ চাষিদের পাওনাদি, শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বকেয়ার বোঝা চেপেই থাকে চিনিকলের ঘাড়ে। বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে অলাভজনক বা লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত কুষ্টিয়া চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ রাখা অনিবার্য হয়ে পড়ে।চাষাবাদে অতি উর্বর কুষ্টিয়ার মাটিতে আখ চাষের সেরা মানের পরিবেশ থাকায় ১৯৬১ সালে ২২১ দশমিক ৪৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া চিনিকল। ১৯৬৫-৬৬ অর্থ বছর থেকে শুরু হয় আখ মাড়াই কার্যক্রম। পরে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়াত্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।

ধ্বংসের পথে কুষ্টিয়া সুগার মিল অযত্নে-অবহেলায়-

কর্তৃপক্ষ দোষ দেয় শ্রমিক সংগঠনকে শ্রমিকরা দোষারোপ করে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে। বন্ধ হওয়া কারখানাটি এখন আস্তে আস্তে মাটিতে মিশে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। এতো বড় একটা কারখানা চোখের সামনে ধ্বংস স্তূপ হয়ে যাচ্ছে কারখানার সেডগুলি খসে পড়ে যাচ্ছে অথচ দেখার কেউ নেই।আখ চাষি জালাল মন্ডল আক্ষেপ করে বলেন, ক্ষতিকর জেনেও আমরা জমিতে বাৎসরিক আর্থিক ফসল আখচাষ করে মিলে এসে হয়রানি ভোগান্তির কারণে আখ চাষ মাঠ থেকে তুলে দেয় কৃষকরা। তামাক কোম্পানিরা যেখানে টাকা, সার বীজসহ সব রকম সাহায্য করে চাষিদের চিনিকলের লোকজন তার সম্পূর্ণ উল্টা। সে জন্যই মিলটার এই দুরবস্থা।

ধ্বংসের পথে কুষ্টিয়া সুগার মিল অযত্নে-অবহেলায়-
শ্রমিক উন্নয়ন সহ-সভাপতি সাগর আহমেদ বলেন, কোন শ্রমিক কখনও চাইবে না তার কর্মপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাক। এখানে কেবলমাত্র শ্রমিকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকলেই চলবে না। একই সাথে চিনিশিল্প কর্পোরেশনকে আন্তরিক সুদৃষ্টি দিতে হবে। কর্পোরেশনের দায়িত্বহীনতার ফলে প্রতি বছরই উৎপাদিত চিনি গুদামজাত থেকে অবিক্রিত থাকায় একদিকে শ্রমিক তার বকেয়া বেতন, বোনাস, ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে অন্যদিকে কৃষক তার আখের দাম পেতে হয়রানির মুখে আখচাষে নিরুৎসাহিত, আবার অর্থসংকটে মিলের সংস্কার কাজও আটকে যাওয়া, সবমিলিয়ে এক অনিশ্চিত শংকায় দিন কাটছে।

বন্ধ হয়ে যাওয়া কুষ্টিয়া চিনিকলের দেখভালের দায়িত্বরত (কারখানা ইনচার্জ) হাবিবুর রহমান সকল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানা কারণে কারখানা ভবনের এই জরাজীর্ণতা কথা চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। উনারা কয়েকবার এসে পরিদর্শনও করে গেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি মেরামতের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ হয়নি। অর্থ বরাদ্দ পেলেই ভেঙে যাওয়া বা উড়ে যাওয়া চালাসহ ক্ষতিগ্রস্ত ভবন সংস্কার করা হবে।

 

আরো পড়ুন……

চরফ্যাসনে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্ধ বিদ্যুৎসংযোগ।