ময়মনসিংহ , বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নতুন নির্দেশনা ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়, তবে ভোটের আগে উন্নতি হবে বললেন সিইসি ‘মানুষ যেমন কবর থেকে ফেরে না, শেখ হাসিনাও রাজনীতিতে ফিরবে না’:মামুনুল হক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন শাহবাগে , নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট ছিনতাইকারীরা ব্যবসায়ীর বুকে ছুরি মেরে ফোন নিয়ে গেল রোনালদো-জর্জিনা আগামী বছরেই বিয়ে করছেন গরু ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে টাকা ছিনতায়ের ঘটনায় তিন ডাকাত গ্রেপ্তার মাদারীপুরে ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য উপহার পাঠালেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কাওকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে না বললেন সিইসি
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

তিস্তার পানি কমলেও লালমনিরহাটের ১৫ গ্রাম প্লাবিত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে লালমনিরহাটে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত সোমবার রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে (৫২.২২ মিটার) প্রবাহিত হয়। এ সময় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়। তবে গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছে।

রাতেই তীব্র স্রোতের কারণে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকার একটি কাঁচা সড়ক ভেঙে পড়ে। পানি কমলেও ডালিয়া ব্যারাজের ভাটির দিকে হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১৫টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি। এসব অঞ্চলের সানিয়াজান, সিন্দুরনা, পাটিকাপাড়া, গড্ডিমারী, ভোটমারী, মহিষখোচা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।

পানির তোড়ে অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে আমনের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা ধান ডুবে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে, ফলে বীজ ও ধানের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এদিকে আদিতমারী উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তা ও মাঠে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘রাতে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করে। এখন ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে, রান্না-বান্না ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’

গোবর্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘প্রতিবার বন্যায় স্কুলের মাঠ ও রাস্তা ডুবে যায়। কোমর সমান পানি থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউ আসতে পারে না। তাই কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। রাস্তা উঁচু না করা পর্যন্ত সমস্যা চলতেই থাকবে।’

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, ‘তিস্তার পানি রাতে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। ধুবনী এলাকায় একটি বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। সকাল থেকে পানি কিছুটা কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এরপর তা ধীরে ধীরে নেমে যেতে পারে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন নির্দেশনা ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে

তিস্তার পানি কমলেও লালমনিরহাটের ১৫ গ্রাম প্লাবিত

আপডেট সময় ১১:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে লালমনিরহাটে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত সোমবার রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে (৫২.২২ মিটার) প্রবাহিত হয়। এ সময় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়। তবে গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছে।

রাতেই তীব্র স্রোতের কারণে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকার একটি কাঁচা সড়ক ভেঙে পড়ে। পানি কমলেও ডালিয়া ব্যারাজের ভাটির দিকে হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১৫টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি। এসব অঞ্চলের সানিয়াজান, সিন্দুরনা, পাটিকাপাড়া, গড্ডিমারী, ভোটমারী, মহিষখোচা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।

পানির তোড়ে অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে আমনের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা ধান ডুবে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে, ফলে বীজ ও ধানের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এদিকে আদিতমারী উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তা ও মাঠে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘রাতে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করে। এখন ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে, রান্না-বান্না ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’

গোবর্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘প্রতিবার বন্যায় স্কুলের মাঠ ও রাস্তা ডুবে যায়। কোমর সমান পানি থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউ আসতে পারে না। তাই কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। রাস্তা উঁচু না করা পর্যন্ত সমস্যা চলতেই থাকবে।’

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, ‘তিস্তার পানি রাতে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। ধুবনী এলাকায় একটি বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। সকাল থেকে পানি কিছুটা কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এরপর তা ধীরে ধীরে নেমে যেতে পারে।’