ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সিআইডি মাদক ব্যবসায়ীর প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১০:১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শাহীন আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট, সিআইডি-এর তৎপরতায় প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের আদেশ প্রদান করেছে আদালত।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের অভিযোগে শাহীন আলমের বিরুদ্ধে আতাইকুলা থানায় মামলা নং-১০, তারিখ ১৪/০৩/২০২৩, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী-২০১৫)-এর ৪(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধলব্ধ অর্থে ১৯২.৬৭ শতাংশ জমিসহ বিভিন্ন মূল্যবান স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত এই সকল সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। এছাড়াও, তদন্তে শাহীন আলমের নামে থাকা ১০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৬ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ৬৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে এসব হিসাবে ৪২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৭ টাকা জমা রয়েছে, যা আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। শাহীন আলম নিজেকে একজন দুগ্ধ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিলেও, তদন্তে উঠে এসেছে তিনি আতাইকুলা উপজেলায় একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ চক্রের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। আইন অনুযায়ী মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

সিআইডি মাদক ব্যবসায়ীর প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে

আপডেট সময় ১০:১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শাহীন আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট, সিআইডি-এর তৎপরতায় প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের আদেশ প্রদান করেছে আদালত।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের অভিযোগে শাহীন আলমের বিরুদ্ধে আতাইকুলা থানায় মামলা নং-১০, তারিখ ১৪/০৩/২০২৩, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী-২০১৫)-এর ৪(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধলব্ধ অর্থে ১৯২.৬৭ শতাংশ জমিসহ বিভিন্ন মূল্যবান স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত এই সকল সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। এছাড়াও, তদন্তে শাহীন আলমের নামে থাকা ১০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৬ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ৬৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে এসব হিসাবে ৪২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৭ টাকা জমা রয়েছে, যা আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। শাহীন আলম নিজেকে একজন দুগ্ধ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিলেও, তদন্তে উঠে এসেছে তিনি আতাইকুলা উপজেলায় একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ চক্রের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। আইন অনুযায়ী মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।