ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার আজ থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের আদলে চলার আহ্বান খসরুর এই রায়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে বললেন বদিউল আলম মজুমদার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে , ট্রাকচালকসহ ৪ জন কারাগারে খায়রুল হকের রায়ে পরতে পরতে ভুল ছিল বললেন ব্যারিস্টার কাজল পুলিশের ওপর হামলা বাড়লে ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে বললেন ডিএমপি কমিশনার একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কুমিল্লায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা : আমির খসরু তারেক রহমান জন্মদিনে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না বললেন শফিকুল আলম
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো সেই প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনকে বরখাস্ত

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোন্দকার জসিম আহমেদ।

এ বিষয়ে শামীমা ইয়াছমিন বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো কোনো অন্যায় নয় বরং এটি তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোকে আমি গর্বের বিষয় মনে করি।’

এ ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষক সমাজ ও এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, অনেকেই এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ প্রধান শিক্ষিকাকে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।

এদিকে প্রধান শিক্ষিকার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার স্বামী মো. হাফিজুর রহমান ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার একটা চিঠি আছে, অফিসে এসে নিয়ে যাবেন। তবে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।’

জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিন বিদ্যালয়ের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলাব্যাপী উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার বিরোধিতা করলে প্রধান শিক্ষিকা সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে আমার পিতা মইনউদ্দীন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধে করেছেন। সেই যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হত না। তাই আমার বিদ্যালয় থেকে এই ছবি সরাতে পারবো না।’

তবে পরে স্থানীয় চাপে ছবিটি নামাতে বাধ্য হন তিনি। এরপরেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার

শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো সেই প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনকে বরখাস্ত

আপডেট সময় ১০:২৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খোন্দকার জসিম আহমেদ।

এ বিষয়ে শামীমা ইয়াছমিন বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো কোনো অন্যায় নয় বরং এটি তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোকে আমি গর্বের বিষয় মনে করি।’

এ ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষক সমাজ ও এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, অনেকেই এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ প্রধান শিক্ষিকাকে ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।

এদিকে প্রধান শিক্ষিকার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার স্বামী মো. হাফিজুর রহমান ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার একটা চিঠি আছে, অফিসে এসে নিয়ে যাবেন। তবে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।’

জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট উপজেলার সোনারঘোপ রমেশচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াছমিন বিদ্যালয়ের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলাব্যাপী উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার বিরোধিতা করলে প্রধান শিক্ষিকা সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে আমার পিতা মইনউদ্দীন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধে করেছেন। সেই যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হত না। তাই আমার বিদ্যালয় থেকে এই ছবি সরাতে পারবো না।’

তবে পরে স্থানীয় চাপে ছবিটি নামাতে বাধ্য হন তিনি। এরপরেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।