ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

পিআর নিয়ে কয়েকটি দল মামা বাড়ির আবদার করছে বললেন রিজভী

  • ডিজিটাল রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৯:৪৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

পিআর নিয়ে কয়েকটি দল মামা বাড়ির আবদার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ গার্লস হাই স্কুল মাঠে আর্থিক সহায়তার চেক ও অটোরিকশার চাবি তুলে দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জামালপুর জেলার ’২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকশা প্রদান করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।

বিএনপির মহাসচিব বলেন,‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর নিয়ে মামাবাড়ির আবদার করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, সে পদ্ধতিতে তারা নির্বাচন চায় না।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনা নির্বাচন দিতে চায়নি, আপনারাও চান না- এটি তো শেখ হাসিনারই সুর। শর্ত দিয়ে নির্বাচনে যাবেন কি যাবেন না এমন বক্তব্যে প্রকৃত গণতন্ত্র হবে না, এতে উগ্রপন্থা আবার ফিরবে।’

রিজভী বলেন, ‘বিদেশে বসে শেখ হাসিনা লুট করা টাকা দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।’

বাংলাভাষী মুসলমানদের জোর করে পুশ ইন করছে আর শেখ হাসিনাকে ‘জামাই আদরে’ রেখেছে; এটা দিল্লির দ্বিচারিতা বলে জানান রিজভী।

তিনি আরও বলেন, ‘বসন্তের কোকিলরা দলে ডুবে চাঁদাবাজি অপকর্ম করছে, তাদের প্রবেশ ঠেকাতে হবে। যারা জেল খেটেছে, যারা নির্যাতিত নেতাকর্মী, তারা কখনও চাঁদাবাজ হবে না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘মানুষ বেকার হচ্ছে, দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা যত সহযোগিতাই করি না কেন, দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়লে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে।’

কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ, সাবেক সাংসদ এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। সঞ্চালনা করেন দেওয়ানগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সাজু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ বিন আনোয়ার সজীব ও তৌফিকুর রহমান তৌফিক।

সমাবেশে রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, ‘নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। জনগণ চায় সেই প্রক্রিয়ায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলে জনগণকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচন নামের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে হয়েছে। তারা বাংলাদেশে মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। জগগণের নিরাপত্তা অনিশ্চিত করে নিজেদের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসছে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই; আমরাও পারি নিরাপদ উন্নত প্রগতিশীল দেশ প্রতিষ্ঠা করতে। তার জন্য প্রয়োজন সবার সহযোগিতা, সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আসুন আমরা কর্মী সমাবেশে এই প্রতিজ্ঞা করি।’

এদিকে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি। একইসঙ্গে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন, আমরা বিএনপি পরিবারের সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন, বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিক সওদাগরসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

পিআর নিয়ে কয়েকটি দল মামা বাড়ির আবদার করছে বললেন রিজভী

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

পিআর নিয়ে কয়েকটি দল মামা বাড়ির আবদার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ গার্লস হাই স্কুল মাঠে আর্থিক সহায়তার চেক ও অটোরিকশার চাবি তুলে দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় জামালপুর জেলার ’২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকশা প্রদান করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।

বিএনপির মহাসচিব বলেন,‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর নিয়ে মামাবাড়ির আবদার করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, সে পদ্ধতিতে তারা নির্বাচন চায় না।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনা নির্বাচন দিতে চায়নি, আপনারাও চান না- এটি তো শেখ হাসিনারই সুর। শর্ত দিয়ে নির্বাচনে যাবেন কি যাবেন না এমন বক্তব্যে প্রকৃত গণতন্ত্র হবে না, এতে উগ্রপন্থা আবার ফিরবে।’

রিজভী বলেন, ‘বিদেশে বসে শেখ হাসিনা লুট করা টাকা দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।’

বাংলাভাষী মুসলমানদের জোর করে পুশ ইন করছে আর শেখ হাসিনাকে ‘জামাই আদরে’ রেখেছে; এটা দিল্লির দ্বিচারিতা বলে জানান রিজভী।

তিনি আরও বলেন, ‘বসন্তের কোকিলরা দলে ডুবে চাঁদাবাজি অপকর্ম করছে, তাদের প্রবেশ ঠেকাতে হবে। যারা জেল খেটেছে, যারা নির্যাতিত নেতাকর্মী, তারা কখনও চাঁদাবাজ হবে না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘মানুষ বেকার হচ্ছে, দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা যত সহযোগিতাই করি না কেন, দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়লে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে।’

কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ, সাবেক সাংসদ এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। সঞ্চালনা করেন দেওয়ানগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সাজু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ বিন আনোয়ার সজীব ও তৌফিকুর রহমান তৌফিক।

সমাবেশে রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, ‘নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। জনগণ চায় সেই প্রক্রিয়ায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলে জনগণকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচন নামের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে হয়েছে। তারা বাংলাদেশে মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। জগগণের নিরাপত্তা অনিশ্চিত করে নিজেদের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসছে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই; আমরাও পারি নিরাপদ উন্নত প্রগতিশীল দেশ প্রতিষ্ঠা করতে। তার জন্য প্রয়োজন সবার সহযোগিতা, সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আসুন আমরা কর্মী সমাবেশে এই প্রতিজ্ঞা করি।’

এদিকে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি। একইসঙ্গে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন, আমরা বিএনপি পরিবারের সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন, বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিক সওদাগরসহ অন্যরাও উপস্থিত ছিলেন।