ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বানের পানি নামলেও তলিয়ে আছে ফসলের ক্ষেত

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১২:৩২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে
মাটি ও মানুষ ডেস্ক:

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কখনো বাড়ছে, আবার কখনো কমছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর থেকে বানের পানি নামলেও অনেক ফসলের ক্ষেত এখনো তলিয়ে আছে। পানি বাড়ছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়ও।এদিকে যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে মানিকগঞ্জের বাঘুটিয়া চর।বসতবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে।  দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া চরে যমুনা নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এক মাসের ব্যবধানে শতাধিক বসতবাড়ি ও বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । ভাঙনের মুখে রয়েছে পারুলিয়া বাজার, বাঘুটিয়া পুরান বাজার, বাঘুটিয়া ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, চরকালিকাপুর মাদরাসাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । গত ১০ বছরে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ভেঙে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে খুব শিগগির চরটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চরাঞ্চলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে আমাদের অনুমোদন নেই। বিশাল এলাকা হওয়ার কারণে ভাঙন ঠেকানো অনেক কঠিন।তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানাব।’লালমনিরহাট : বাড়া-কমার মধ্যেই আছে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি। এতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, ডাউয়াবাড়ি, সিন্দুর্না ও গড্ডিমারী, কালীগঞ্জের ভোটমারী ও কাকিনা, আদিতমারীর মহিষখোঁচা, পলাশী ও দুর্গাপুর সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের  বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট থেকে বানের পানি নেমে গেছে। এলাকার অনেক ফসলের ক্ষেত এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।

শেরপুর : কামারের চর ইউনিয়নের ৬ নম্বর চর, ৭ নম্বর চর, পয়স্তির চর, গোয়ালের চরের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে গতকাল আর নদীভাঙন হয়নি।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান জানিয়েছেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বানের পানি নামলেও তলিয়ে আছে ফসলের ক্ষেত

আপডেট সময় ১২:৩২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
মাটি ও মানুষ ডেস্ক:

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কখনো বাড়ছে, আবার কখনো কমছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর থেকে বানের পানি নামলেও অনেক ফসলের ক্ষেত এখনো তলিয়ে আছে। পানি বাড়ছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়ও।এদিকে যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে মানিকগঞ্জের বাঘুটিয়া চর।বসতবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে।  দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া চরে যমুনা নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এক মাসের ব্যবধানে শতাধিক বসতবাড়ি ও বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । ভাঙনের মুখে রয়েছে পারুলিয়া বাজার, বাঘুটিয়া পুরান বাজার, বাঘুটিয়া ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, চরকালিকাপুর মাদরাসাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । গত ১০ বছরে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ভেঙে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে খুব শিগগির চরটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চরাঞ্চলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে আমাদের অনুমোদন নেই। বিশাল এলাকা হওয়ার কারণে ভাঙন ঠেকানো অনেক কঠিন।তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানাব।’লালমনিরহাট : বাড়া-কমার মধ্যেই আছে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি। এতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, ডাউয়াবাড়ি, সিন্দুর্না ও গড্ডিমারী, কালীগঞ্জের ভোটমারী ও কাকিনা, আদিতমারীর মহিষখোঁচা, পলাশী ও দুর্গাপুর সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের  বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট থেকে বানের পানি নেমে গেছে। এলাকার অনেক ফসলের ক্ষেত এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।

শেরপুর : কামারের চর ইউনিয়নের ৬ নম্বর চর, ৭ নম্বর চর, পয়স্তির চর, গোয়ালের চরের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে গতকাল আর নদীভাঙন হয়নি।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান জানিয়েছেন, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।