সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অগ্রণী ভূমিকা এবং শিক্ষার প্রতি দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং থিয়ারওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সারা ব্রাউন। এসময় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডিকেও সম্মাননা জানানো হয়। তবে ইউনূসের দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণভিত্তিক উদ্যোগ এবং শিক্ষাকে মিশনের অংশ করার প্রচেষ্টা অতিথিদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
গর্ডন ব্রাউন বলেন, ‘গত ৫০ বছরে কোনো বেসরকারি খাতের প্রকল্প মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অবদান রাখতে পারেনি।’
পুরস্কার গ্রহণকালে ড. ইউনূস বলেন, ‘খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো ঋণও একটি মৌলিক মানবাধিকার। আর্থিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দিলে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে শিক্ষাকে যুক্ত করেছি, যাতে নারীরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে।’
তিনি প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের উদ্যোক্তা হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যবসাকে মানবকল্যাণের শক্তি হিসেবে ব্যবহারের পাঠ দিতে হবে।
ড. ইউনূস আরও যোগ করেন, ‘মানবজাতির সব সমস্যার সমাধান ব্যবসায়িক উপায়ে করা সম্ভব।’