ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাংলাদেশে দুই অ্যাপ বন্ধের চিন্তা হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে পরামর্শ দিল পুলিশ দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়ে অতিথির সামনেই প্রাইজমানির চেক ছুড়ে ফেললেন পাকিস্তানের অধিনায়ক তারেক রহমান সপরিবারে ওমরাহ পালনে যাবেন খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতা নিয়ে সেনাবাহিনীর বিবৃতি ভুটানের রাষ্ট্রদূত দর্জির সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক ‘ভারত ও ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে পাহাড়ে যেন কোনো ঘটনা না ঘটে, ব্যবস্থা নিচ্ছি’:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাজ্য বললেন সারাহ কুক আমার ছেলেদের সবার আগে গালি শিখিয়েছি, কারণ বাংলাদেশে গালি লাগে বললেন আসিফ খাগড়াছড়ি ১৪৪ ধারা-অবরোধে থমথমে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস। হৃদরোগ প্রতিরোধ ও সুস্থ হৃদয়ের গুরুত্ব তুলে ধরতে প্রতিবছর এদিন বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিবসটি।

বিশ্ব হার্ট দিবসের এবারের প্রতিবাদ্য ডোন্ট মিস এ বিট। যার অর্থ লক্ষণ উপেক্ষা না করা, সময়মতো চিকিৎসা নেয়া এবং প্রতিরোধমূলক জীবনযাত্রা মেনে চলা।

বর্তমানে মানুষের মৃত্যুর যত কারণ আছে, তার মধ্যে অন্যতম হৃদরোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে প্রতি বছর ১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ হৃদরোগে মারা যান। অর্থাৎ বিশ্বে যত মৃত্যু হয় তার ৩৩ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ।
 
দেশেও এ সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। প্রতি বছর দেশে ৩ লাখ মানুষ মারা যান এই রোগে। যা দেশের মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশের বেশি। এক সময় হৃদরোগ শুধু বয়স্কদের ধারণা করা হলেও, সমস্যার বাইরে নেই শিশুরাও।
 
প্রতিবছর দেশে ৭৩ হাজার শিশু হৃদযন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যা মোট শিশু জন্মের আড়াই শতাংশ। আরও আশঙ্কার বিষয়, অধিকাংশ অভিভাবকই জানেন না তাদের শিশুরা সমস্যায় আক্রান্ত।
 
তাই এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায়ের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ও হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 
হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৯ সালে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনি বায়েস দে লুনা প্রথমবার এই দিবস পালনের অনুভব করেন। তার প্রস্তাবে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ২০০০ সালে প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব হার্ট ডে পালিত হয়।
 
প্রথমদিকে এটি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার পালিত হলেও ২০১১ সাল থেকে নির্দিষ্টভাবে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটিতে বিশ্ব হার্ট ডে পালন করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৯০টিরও বেশি দেশ এই দিনে হৃদরোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রচারাভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশে দুই অ্যাপ বন্ধের চিন্তা হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ ঠেকাতে

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস

আপডেট সময় ১০:৫১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস। হৃদরোগ প্রতিরোধ ও সুস্থ হৃদয়ের গুরুত্ব তুলে ধরতে প্রতিবছর এদিন বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিবসটি।

বিশ্ব হার্ট দিবসের এবারের প্রতিবাদ্য ডোন্ট মিস এ বিট। যার অর্থ লক্ষণ উপেক্ষা না করা, সময়মতো চিকিৎসা নেয়া এবং প্রতিরোধমূলক জীবনযাত্রা মেনে চলা।

বর্তমানে মানুষের মৃত্যুর যত কারণ আছে, তার মধ্যে অন্যতম হৃদরোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে প্রতি বছর ১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ হৃদরোগে মারা যান। অর্থাৎ বিশ্বে যত মৃত্যু হয় তার ৩৩ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ।
 
দেশেও এ সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। প্রতি বছর দেশে ৩ লাখ মানুষ মারা যান এই রোগে। যা দেশের মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশের বেশি। এক সময় হৃদরোগ শুধু বয়স্কদের ধারণা করা হলেও, সমস্যার বাইরে নেই শিশুরাও।
 
প্রতিবছর দেশে ৭৩ হাজার শিশু হৃদযন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যা মোট শিশু জন্মের আড়াই শতাংশ। আরও আশঙ্কার বিষয়, অধিকাংশ অভিভাবকই জানেন না তাদের শিশুরা সমস্যায় আক্রান্ত।
 
তাই এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায়ের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ও হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 
হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৯ সালে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনি বায়েস দে লুনা প্রথমবার এই দিবস পালনের অনুভব করেন। তার প্রস্তাবে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ২০০০ সালে প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব হার্ট ডে পালিত হয়।
 
প্রথমদিকে এটি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার পালিত হলেও ২০১১ সাল থেকে নির্দিষ্টভাবে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটিতে বিশ্ব হার্ট ডে পালন করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৯০টিরও বেশি দেশ এই দিনে হৃদরোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রচারাভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করে।