ময়মনসিংহ , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন সচিবকে বদলি তিন মন্ত্রণালয়ের কামাল উদ্দিন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন বিগত তিন নির্বাচনের কেউ এবার দায়িত্বে থাকবেন না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের বললেন তাজুল ইসলাম কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ কুমিল্লা সীমান্তে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পিআর পদ্ধতির নামে আন্দোলন চলছে বললেন মির্জা ফখরুল পাল্টাপাল্টি হামলার পর আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ৭ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার ঢাকায় সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছিলেন বললেন জামায়াত আমির প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ইউরোপ ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন নিয়ম

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৭:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা জোরদার,অবৈধ অভিবাসন এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম’ (ইইএস) চালু করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, পর্যটন ব্যবস্থাপনা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দুর্বলতা কাটাতে পর্তুগালসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ রোববার (১২ অক্টোবর) ২০২৫ থেকে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করছে সীমান্তে। 

এর মাধ্যমে সকল তৃতীয় দেশের নাগরিক—অর্থাৎ ইউরোপীয় দেশের বাইরের যারা ভিসা নিয়ে বা ভিসা ছাড়াই বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পর্যটন, ব্যবসা অথবা পরিবারিক উদ্দেশ্যে আসেন, তাঁরা প্রবেশ ও বহির্গমণের মুহূর্তে সরাসরি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হবেন। তাদের আঙ্গুলের ছাপ ও মুখাবয়বের ছবি সীমান্তে সংরক্ষিত হবে, পাশাপাশি প্রবেশ/বের হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ ডিজিটালি রেকর্ড হবে।

পূর্বে পাসপোর্ট এর হাতে মোহর দেওয়ার পদ্ধতির বদলে, এই সিস্টেমে নাগরিকের অবস্থান, ভ্রমণসহ আইনসম্মত থাকার সময়সীমা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্র্যাক করা যাবে। এতে অবৈধভাবে দীর্ঘকাল অবস্থান বা জাল পরিচয় দানের ঘটনা দ্রুত শনাক্ত হবে, কর্তৃপক্ষ সহজেই ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবেন। তথ্যগুলো বিভিন্ন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রিয়েল টাইম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

পর্তুগালে নতুন এই প্রবেশ/প্রস্থান ব্যবস্থা বাস্তবায়নের কাজটি জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ দ্বারা সমন্বিত করা হবে যা, জাতীয় রিপাবলিকান গার্ড (জিএনআর), পুলিশ (পিএসপি), জাতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (এ এন এ সি), নৌবন্দর প্রশাসন এবং (এএনএ) বিমানবন্দরের সাথে একত্রে সমন্বয় করে সম্পাদন করবে। তবে ব্যবস্থাটি পুরোপুরি কার্যকর হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে।

নতুন প্রযুক্তিতে তথ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে—ব্যক্তিগত তথ্য ইউরোপিয়ান আইন অনুযায়ী বিশেষ সুরক্ষিত এবং শুধুমাত্র সামান্য কিছু তথ্য ব্যবহার হবে। অভিবাসন ব্যবস্থা আধুনিক, স্বচ্ছ ও দ্রুততর হবে, যা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। শেনজেন সীমান্তে এই পরিবর্তন আগামী দিনে ইউরোপের সীমান্তে নিরাপত্তা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত হিসাবে দেখা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তিন সচিবকে বদলি তিন মন্ত্রণালয়ের

ইউরোপ ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন নিয়ম

আপডেট সময় ১১:৩৭:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ইউরোপের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা জোরদার,অবৈধ অভিবাসন এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম’ (ইইএস) চালু করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, পর্যটন ব্যবস্থাপনা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দুর্বলতা কাটাতে পর্তুগালসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ রোববার (১২ অক্টোবর) ২০২৫ থেকে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করছে সীমান্তে। 

এর মাধ্যমে সকল তৃতীয় দেশের নাগরিক—অর্থাৎ ইউরোপীয় দেশের বাইরের যারা ভিসা নিয়ে বা ভিসা ছাড়াই বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পর্যটন, ব্যবসা অথবা পরিবারিক উদ্দেশ্যে আসেন, তাঁরা প্রবেশ ও বহির্গমণের মুহূর্তে সরাসরি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হবেন। তাদের আঙ্গুলের ছাপ ও মুখাবয়বের ছবি সীমান্তে সংরক্ষিত হবে, পাশাপাশি প্রবেশ/বের হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ ডিজিটালি রেকর্ড হবে।

পূর্বে পাসপোর্ট এর হাতে মোহর দেওয়ার পদ্ধতির বদলে, এই সিস্টেমে নাগরিকের অবস্থান, ভ্রমণসহ আইনসম্মত থাকার সময়সীমা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্র্যাক করা যাবে। এতে অবৈধভাবে দীর্ঘকাল অবস্থান বা জাল পরিচয় দানের ঘটনা দ্রুত শনাক্ত হবে, কর্তৃপক্ষ সহজেই ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবেন। তথ্যগুলো বিভিন্ন দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রিয়েল টাইম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

পর্তুগালে নতুন এই প্রবেশ/প্রস্থান ব্যবস্থা বাস্তবায়নের কাজটি জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ দ্বারা সমন্বিত করা হবে যা, জাতীয় রিপাবলিকান গার্ড (জিএনআর), পুলিশ (পিএসপি), জাতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (এ এন এ সি), নৌবন্দর প্রশাসন এবং (এএনএ) বিমানবন্দরের সাথে একত্রে সমন্বয় করে সম্পাদন করবে। তবে ব্যবস্থাটি পুরোপুরি কার্যকর হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে।

নতুন প্রযুক্তিতে তথ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে—ব্যক্তিগত তথ্য ইউরোপিয়ান আইন অনুযায়ী বিশেষ সুরক্ষিত এবং শুধুমাত্র সামান্য কিছু তথ্য ব্যবহার হবে। অভিবাসন ব্যবস্থা আধুনিক, স্বচ্ছ ও দ্রুততর হবে, যা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। শেনজেন সীমান্তে এই পরিবর্তন আগামী দিনে ইউরোপের সীমান্তে নিরাপত্তা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত হিসাবে দেখা হচ্ছে।