ময়মনসিংহ , বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিএনপি মহাসচিব সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন চুয়াডাঙ্গা ‘মদপানে’ ৬ জনের মৃত্যু কবর থেকে তোলা হল চার মরদেহ ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বললেন বেবিচক চেয়ারম্যান পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন ‘ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র চলছে বললেন আমান জোবায়েদকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির বললেন পুলিশ আসন্ন নির্বাচনে এআই’র অপব্যবহার ঠেকাতে প্রস্তুত ইসি বললেন সিইসি আজ সাবেক এমপিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ তাইওয়ান দখল করতে চায় না চীন বললেন ট্রাম্প বিবিএস অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভরতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দুর্বল সিরাজগঞ্জে কিশোরীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, চিৎকার আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জনসমক্ষে নিকাব নিষিদ্ধের বিল পাস পর্তুগালে

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

পর্তুগালে অধিকাংশ উন্মুক্ত স্থান বা জনসমক্ষে ‘লিঙ্গভিত্তিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে’ নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়েছে। অতি দক্ষিণপন্থী চেগা পার্টি এই বিলটি উত্থাপন করেছিল, যা মূলত মুসলিম নারীদের বোরকা ও নিকাবের ব্যবহার লক্ষ্য করে পার্লামেন্টে তোলা হয়েছিল।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) পাস হওয়া বিলটিতে জনসমক্ষে নিকাব পরলে ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কাউকে নিকাব পরতে বাধ্য করলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে উড়োজাহাজ, কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ ও উপাসনালয়গুলো।

অন্যদিকে, পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা আন্দ্রেয়া নেটো বলেন, এটি নারী ও পুরুষের সমতা নিয়ে বিতর্ক এবং কোনো নারীকে তার মুখ ঢেকে রাখতে বাধ্য করা উচিত নয়। পার্লামেন্টের অধিবেশনে বামপন্থী দলগুলোর কয়েকজন নারী আইনপ্রণেতা বিলটির বিরোধিতা করলেও মধ্যদক্ষিণপন্থী জোটের সমর্থনে বিলটি শেষ পর্যন্ত পাস হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পার্লামেন্টে ১০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে দুটি দল—পিপল-অ্যানিমেলস-নেচার পার্টি ও টুগেদার ফর দ্য পিপল পার্টি—ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল, যাদের মতে এই প্রস্তাব বৈষম্য উসকে দিয়েছে।পর্তুগালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিলটি এখন সাংবিধানিক বিষয়–সম্পর্কিত আইন পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হবে। বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হলে, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিলটিতে ভেটো দিতে পারেন কিংবা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন।

বিলটি আইনে পরিণত হলে পর্তুগালও ইউরোপের সেসব দেশের তালিকায় নাম লেখাবে, যারা জনসমক্ষে নিকাব পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে উন্মুক্ত স্থানে নিকাব পরা আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি মহাসচিব সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন

জনসমক্ষে নিকাব নিষিদ্ধের বিল পাস পর্তুগালে

আপডেট সময় ১১:২৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

পর্তুগালে অধিকাংশ উন্মুক্ত স্থান বা জনসমক্ষে ‘লিঙ্গভিত্তিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে’ নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়েছে। অতি দক্ষিণপন্থী চেগা পার্টি এই বিলটি উত্থাপন করেছিল, যা মূলত মুসলিম নারীদের বোরকা ও নিকাবের ব্যবহার লক্ষ্য করে পার্লামেন্টে তোলা হয়েছিল।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) পাস হওয়া বিলটিতে জনসমক্ষে নিকাব পরলে ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কাউকে নিকাব পরতে বাধ্য করলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে উড়োজাহাজ, কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ ও উপাসনালয়গুলো।

অন্যদিকে, পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা আন্দ্রেয়া নেটো বলেন, এটি নারী ও পুরুষের সমতা নিয়ে বিতর্ক এবং কোনো নারীকে তার মুখ ঢেকে রাখতে বাধ্য করা উচিত নয়। পার্লামেন্টের অধিবেশনে বামপন্থী দলগুলোর কয়েকজন নারী আইনপ্রণেতা বিলটির বিরোধিতা করলেও মধ্যদক্ষিণপন্থী জোটের সমর্থনে বিলটি শেষ পর্যন্ত পাস হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পার্লামেন্টে ১০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে দুটি দল—পিপল-অ্যানিমেলস-নেচার পার্টি ও টুগেদার ফর দ্য পিপল পার্টি—ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল, যাদের মতে এই প্রস্তাব বৈষম্য উসকে দিয়েছে।পর্তুগালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিলটি এখন সাংবিধানিক বিষয়–সম্পর্কিত আইন পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হবে। বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হলে, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিলটিতে ভেটো দিতে পারেন কিংবা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন।

বিলটি আইনে পরিণত হলে পর্তুগালও ইউরোপের সেসব দেশের তালিকায় নাম লেখাবে, যারা জনসমক্ষে নিকাব পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে উন্মুক্ত স্থানে নিকাব পরা আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।