ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিএনপি মহাসচিব সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন চুয়াডাঙ্গা ‘মদপানে’ ৬ জনের মৃত্যু কবর থেকে তোলা হল চার মরদেহ ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বললেন বেবিচক চেয়ারম্যান পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন ‘ভণ্ডুলের ষড়যন্ত্র চলছে বললেন আমান জোবায়েদকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির বললেন পুলিশ আসন্ন নির্বাচনে এআই’র অপব্যবহার ঠেকাতে প্রস্তুত ইসি বললেন সিইসি আজ সাবেক এমপিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ তাইওয়ান দখল করতে চায় না চীন বললেন ট্রাম্প বিবিএস অতিমাত্রায় প্রকল্পনির্ভরতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দুর্বল সিরাজগঞ্জে কিশোরীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, চিৎকার আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আইএমএফ নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচিত সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিললেই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা। তবে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং নতুন সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ পরিস্থিতি ভালো, ডলার স্থিতিশীল। আইএমএফ-এর নীতিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইএমএফ এখন তাদের শর্ত বাস্তবায়নে চাপ তৈরি করছে। কারণ, নির্বাচনের আগে ঋণ না ছাড়ার অর্থ হলো—বাংলাদেশ শর্ত মানছে না—এমন একটি বার্তা বৈশ্বিক অঙ্গনে দেওয়া। নতুন সরকার এলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরে ঋণ ছাড়তে চায় সংস্থাটি।

এর আগে ২০০১ সালেও নির্বাচন পূর্ব সময়ে আইএমএফ অনুরূপ চাপ প্রয়োগ করেছিল। এমনকি জ্বালানি ও মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে ২০২২ সালে ঋণের শর্তে তেল ও গ্যাসের দামও বাড়াতে বাধ্য করেছিল সরকার। মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলেই দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়।

এদিকে, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় ২৯ অক্টোবর আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। দুই সপ্তাহ তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দাখিল করবে মূল্যায়ন প্রতিবেদন। কিস্তি ছাড়ে এই প্রতিবেদন হবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২১৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক গতি রয়েছে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত। চলতি হিসাবেও ঘাটতি নেই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আইএমএফ-এর কাছে সহায়তা চায় সরকার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা পরবর্তীতে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি মহাসচিব সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন

আইএমএফ নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না

আপডেট সময় ০৯:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচিত সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিললেই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা। তবে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং নতুন সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ পরিস্থিতি ভালো, ডলার স্থিতিশীল। আইএমএফ-এর নীতিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইএমএফ এখন তাদের শর্ত বাস্তবায়নে চাপ তৈরি করছে। কারণ, নির্বাচনের আগে ঋণ না ছাড়ার অর্থ হলো—বাংলাদেশ শর্ত মানছে না—এমন একটি বার্তা বৈশ্বিক অঙ্গনে দেওয়া। নতুন সরকার এলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরে ঋণ ছাড়তে চায় সংস্থাটি।

এর আগে ২০০১ সালেও নির্বাচন পূর্ব সময়ে আইএমএফ অনুরূপ চাপ প্রয়োগ করেছিল। এমনকি জ্বালানি ও মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে ২০২২ সালে ঋণের শর্তে তেল ও গ্যাসের দামও বাড়াতে বাধ্য করেছিল সরকার। মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলেই দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়।

এদিকে, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় ২৯ অক্টোবর আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। দুই সপ্তাহ তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দাখিল করবে মূল্যায়ন প্রতিবেদন। কিস্তি ছাড়ে এই প্রতিবেদন হবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২১৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক গতি রয়েছে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত। চলতি হিসাবেও ঘাটতি নেই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আইএমএফ-এর কাছে সহায়তা চায় সরকার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা পরবর্তীতে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।