বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় রুমিন ফারহানা আরও বলেন, কোনও বিচারের আগে যদি শর্ত থাকে, তাহলে সেই বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। নির্দিষ্ট সময় বা শর্ত বেঁধে দিয়ে কখনো বিচারকে আটকে ফেলার চেষ্টা ভালো পরিণতি নিয়ে আসে না। শেখ হাসিনার রায়ে দেশের জনণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।
তিনি বলেন, এই রায়টির ঘিরে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে নানা মন্তব্য দেখতে পাচ্ছি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নানা পর্যবেক্ষণ দেখছি। ডেভিড বার্গম্যান যিনি খুবই সোচ্ছার ছিলেন হাসিনার শাসনামলে। তিনিও হাসিনার রায় ঘিরে তার লেখা আর্টিকেলে বলেছেন, প্রসিকিউশনের হাতে শক্ত প্রমাণ ছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে বিচারের দৃশ্যমানতাই একমাত্র শর্ত নয়। আমরা দেখলাম বিচারের দৃশ্যমানতার পাশাপাশি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, গণভোট আগে হওয়া। এ রকম নানান রকম শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ নয় জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধের শর্ত দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের শর্ত এসেছে। এসব দাবি মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা না হলে জামায়াতসহ যারা এই দাবিটা তুলেছে তারা নির্বাচনে আসবে কি না এটা একটা বড় প্রশ্ন। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনলাইন ডেস্ক 























