ময়মনসিংহ , বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বরিশালে গরু চোরের পিছু ধাওয়া, পিকআপ ভ্যানের চাপায় শ্রমিক দল নেতা নিহত কিশোরগঞ্জে পিকনিকের খাবারে বিষক্রিয়া, অসুস্থ ১০ পুলিশ সদস্য নতুন করে হত্যা মামলায় গ্রেফতার মেনন-আতিক-পলক হবিগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধার অভিযানে পুলিশকে পিটুনি, আহত ৫ গুলিতে নিহত বিএনপি কর্মীর শরীরে ১০ আঘাত, কিলিং মিশনে ছিল ছয় জন চট্টগ্রামে এখন সৌদি আরবে ওমরাহ করতে পারবেন সব ধরনের ভিসাধারীরা আগে মুরগির ফার্মের মালিকও টিভির লাইসেন্স পেয়েছে বললেন উপ প্রেস সচিব ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিবি মদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের অন্তত ৪০টি টেলিভিশন-পত্রিকায় প্রভাব খাটাচ্ছে বিএনপি বললেন সারজিস ওয়ান ইলেভেন সরকার ছিল অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সরকার বললেন তারেক রহমান
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জ্বর কমানোর ঘরোয়া টোটকা

  • অজিফা ইফতাক মিম
  • আপডেট সময় ১০:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

জ্বর কমানোর ঘরোয়া টোটকা

আমরা প্রায়ই কমবেশি জ্বরে ভুগে থাকি। শরীরের অ্যান্টিবডি দুর্বল হলে জ্বর আসে। যা কারও কারও ক্ষেত্রে অল্প সময় থাকে, আবার কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘ হয়। জ্বরে অনেকের খাবার রুচিও কমে যায়। জ্বর এলে অনেকে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য নিজের মতো ওষুধ খান, যা মোটেও ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

এ ছাড়া কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজেই জ্বরকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। জ্বর বেশি হলে তা দ্রুত কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনার জন্য এই ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন—

পানিপট্টি দেওয়া

জ্বরের তীব্রতা বেশি হলে মাথায় পানিপট্টি দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে এক টুকরা কাপড় পানিতে ভিজিয়ে কপালের ওপর রাখুন। কিছুক্ষণ পর সেটি তুলে আবার পানিতে দিয়ে তা থেকে সামান্য পানি ফেলে দিয়ে আবার কপালের ওপর ধরুন। এভাবে বারবার করতে থাকুন। আশা করা যায়, ভালো ফল পাবেন।

তুলসী পাতার পানি

তুলসী পাতার পানি জ্বর কমানোর জন্য বেশ কার্যকর। এ জন্য কিছু তুলসী পাতা ধুয়ে নিয়ে গরম পানিতে ছেড়ে দিন। এরপর সময় নিয়ে পানি ফুটান। সেই ফুটানো পানি নিয়ে ঠান্ডা করে প্রতিদিন সকালে পান করুন।

মধু ও লেবুর মিশ্রণ

এ মিশ্রণটি তৈরি করতে প্রথমে এক চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস নিন। এরপর এক গ্লাস সামান্য গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেবে।

আদা ও মধুর মিশ্রণ

এক কাপ গরম পানির সঙ্গে আদা বাটা ও মধু মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। আরও ভালো ফল পেতে এ মিশ্রণের সঙ্গে লেবু মেশাতে পারেন।

রসুন পানি

প্রথমে একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে এক কোয়া রসুন কুচি কুচি করে কেটে বা বেটে ভিজিয়ে রাখুন। পানি ঠান্ডা হলে কিছুক্ষণ পরপর সেটি পান করুন। এর সঙ্গে চাইলে আপনি মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। ভালো ফলাফল পাবেন আশা করা যায়।

কুসুম গরম পানিতে গোসল

জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এ জন্য শীত শীত অনুভূত হয়। তাই জ্বর যখন কমে ১০০ ডিগ্রিতে আসবে, তখন আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। জ্বর কিছুটা কমতে পারে।

তরল খাবার খাওয়া

শরীরে জ্বর যত বেশি হবে, ততই ডি-হাইড্রেশন বাড়বে। তাই ওই সময় প্রচুর পানি খাওয়া উচিত। সম্ভব হলে ফলের রস ও হারবাল চা খেতে পারেন। অনেকটা উপকার মিলবে।

বিশ্রাম নেওয়া

জ্বর থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

স্পঞ্জ করুন

যদি গোসল করতে অসুবিধা হয়, তাহলে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে ঠান্ডা পানি দিয়ে স্পঞ্জ করতে হবে। এ জন্য কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে শরীরের যেসব স্থানে গরম বেশি থাকে, সেখানে স্পঞ্জ বা মুছে ফেলুন। এতে জ্বর কিছুটা কমে আসবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে গরু চোরের পিছু ধাওয়া, পিকআপ ভ্যানের চাপায় শ্রমিক দল নেতা নিহত

জ্বর কমানোর ঘরোয়া টোটকা

আপডেট সময় ১০:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

জ্বর কমানোর ঘরোয়া টোটকা

আমরা প্রায়ই কমবেশি জ্বরে ভুগে থাকি। শরীরের অ্যান্টিবডি দুর্বল হলে জ্বর আসে। যা কারও কারও ক্ষেত্রে অল্প সময় থাকে, আবার কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘ হয়। জ্বরে অনেকের খাবার রুচিও কমে যায়। জ্বর এলে অনেকে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য নিজের মতো ওষুধ খান, যা মোটেও ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

এ ছাড়া কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজেই জ্বরকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। জ্বর বেশি হলে তা দ্রুত কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে আনার জন্য এই ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন—

পানিপট্টি দেওয়া

জ্বরের তীব্রতা বেশি হলে মাথায় পানিপট্টি দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে এক টুকরা কাপড় পানিতে ভিজিয়ে কপালের ওপর রাখুন। কিছুক্ষণ পর সেটি তুলে আবার পানিতে দিয়ে তা থেকে সামান্য পানি ফেলে দিয়ে আবার কপালের ওপর ধরুন। এভাবে বারবার করতে থাকুন। আশা করা যায়, ভালো ফল পাবেন।

তুলসী পাতার পানি

তুলসী পাতার পানি জ্বর কমানোর জন্য বেশ কার্যকর। এ জন্য কিছু তুলসী পাতা ধুয়ে নিয়ে গরম পানিতে ছেড়ে দিন। এরপর সময় নিয়ে পানি ফুটান। সেই ফুটানো পানি নিয়ে ঠান্ডা করে প্রতিদিন সকালে পান করুন।

মধু ও লেবুর মিশ্রণ

এ মিশ্রণটি তৈরি করতে প্রথমে এক চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস নিন। এরপর এক গ্লাস সামান্য গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেবে।

আদা ও মধুর মিশ্রণ

এক কাপ গরম পানির সঙ্গে আদা বাটা ও মধু মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন। আরও ভালো ফল পেতে এ মিশ্রণের সঙ্গে লেবু মেশাতে পারেন।

রসুন পানি

প্রথমে একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে এক কোয়া রসুন কুচি কুচি করে কেটে বা বেটে ভিজিয়ে রাখুন। পানি ঠান্ডা হলে কিছুক্ষণ পরপর সেটি পান করুন। এর সঙ্গে চাইলে আপনি মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। ভালো ফলাফল পাবেন আশা করা যায়।

কুসুম গরম পানিতে গোসল

জ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এ জন্য শীত শীত অনুভূত হয়। তাই জ্বর যখন কমে ১০০ ডিগ্রিতে আসবে, তখন আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। জ্বর কিছুটা কমতে পারে।

তরল খাবার খাওয়া

শরীরে জ্বর যত বেশি হবে, ততই ডি-হাইড্রেশন বাড়বে। তাই ওই সময় প্রচুর পানি খাওয়া উচিত। সম্ভব হলে ফলের রস ও হারবাল চা খেতে পারেন। অনেকটা উপকার মিলবে।

বিশ্রাম নেওয়া

জ্বর থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

স্পঞ্জ করুন

যদি গোসল করতে অসুবিধা হয়, তাহলে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে ঠান্ডা পানি দিয়ে স্পঞ্জ করতে হবে। এ জন্য কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে শরীরের যেসব স্থানে গরম বেশি থাকে, সেখানে স্পঞ্জ বা মুছে ফেলুন। এতে জ্বর কিছুটা কমে আসবে।