ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান গত হজে ব্যয় না হওয়া ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে:ধর্ম উপদেষ্টা প্রস্তুত জলকামান ও সাঁজোয়া যান শিক্ষা ভবনের সামনে এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা এমপিত্তভুক্ত শিক্ষকদের ৪ দফা দাবিতে চলছে কর্মবিরতি ১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণে ৩ শ্রমিক দগ্ধ চট্টগ্রাম একাত্তরের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নষ্ট করা হচ্ছে বললেন মির্জা ফখরুল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘অসামাজিক কাজের’ অভিযোগে নারীর গলায় জুতার মালা, কাটা হলো চুল মির্জা আব্বাস-রিজভীসহ অব্যাহতি পেলেন ১৬৭ জন নাশকতার মামলায়
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রক্ত দিয়ে ব্যানার লেখা হচ্ছে রাবিতে

শরীরের রক্ত দিয়ে ব্যানার লিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনের আগে তিনজন শিক্ষার্থী সিরিঞ্জের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত দেন। পরে সেই রক্ত দিয়ে সাদা কাপড়ে ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক’ লিখে ব্যানার তৈরি করা হয়। সেই ব্যানারে রক্তমাখা হাতের ছাপও দেন শিক্ষার্থীরা। পরে ওই ব্যানার দিয়ে মানববন্ধন পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা একটি মীমাংসিত বিষয়। তবুও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটার মতো একটি অনৈতিক বিষয়কে বহাল রেখেছে। জুলাই বিপ্লবে তাদের ভাইয়ের তাজা রক্তের ঘ্রাণ হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নাকে পৌঁছায়নি। তাই তারা আবারও শরীরের রক্ত বের করে ব্যানার বানিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে টাঙিয়ে দেবেন। যাতে সেখানে ঢুকতে গেলে কর্তাব্যক্তিদের নাকে তাদের ভাইয়ের রক্তের ঘ্রাণ পৌঁছায়।

রক্ত দিয়ে ব্যানার লেখা শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার বলেন, আমরা ধারণা করছি, চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদ-আহত ভাইদের রক্তের ঘ্রাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নাকে পৌঁছাচ্ছে না। তাই আজ আমরা রক্তসংহতি জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়ে দিতে চাই, আজকের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পোষ্য কোটা আমরা মেনে নেব না। পোষ্য কোটার মতো একটি নিকৃষ্ট কোটা আমরা অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল করতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন। স্মারকলিপি, আমরণ অনশন, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, লাল কার্ড প্রদর্শন, প্রতীকী ‘কবর’, গণস্বাক্ষর, জুতা নিক্ষেপের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে ২০ সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা থাকলেও এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি ওই কমিটি। এর মধ্যে ওই কমিটি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রক্ত দিয়ে ব্যানার লেখা হচ্ছে রাবিতে

আপডেট সময় ১২:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শরীরের রক্ত দিয়ে ব্যানার লিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনের আগে তিনজন শিক্ষার্থী সিরিঞ্জের মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত দেন। পরে সেই রক্ত দিয়ে সাদা কাপড়ে ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক’ লিখে ব্যানার তৈরি করা হয়। সেই ব্যানারে রক্তমাখা হাতের ছাপও দেন শিক্ষার্থীরা। পরে ওই ব্যানার দিয়ে মানববন্ধন পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা একটি মীমাংসিত বিষয়। তবুও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটার মতো একটি অনৈতিক বিষয়কে বহাল রেখেছে। জুলাই বিপ্লবে তাদের ভাইয়ের তাজা রক্তের ঘ্রাণ হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নাকে পৌঁছায়নি। তাই তারা আবারও শরীরের রক্ত বের করে ব্যানার বানিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে টাঙিয়ে দেবেন। যাতে সেখানে ঢুকতে গেলে কর্তাব্যক্তিদের নাকে তাদের ভাইয়ের রক্তের ঘ্রাণ পৌঁছায়।

রক্ত দিয়ে ব্যানার লেখা শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার বলেন, আমরা ধারণা করছি, চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদ-আহত ভাইদের রক্তের ঘ্রাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নাকে পৌঁছাচ্ছে না। তাই আজ আমরা রক্তসংহতি জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়ে দিতে চাই, আজকের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পোষ্য কোটা আমরা মেনে নেব না। পোষ্য কোটার মতো একটি নিকৃষ্ট কোটা আমরা অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল করতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন। স্মারকলিপি, আমরণ অনশন, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, লাল কার্ড প্রদর্শন, প্রতীকী ‘কবর’, গণস্বাক্ষর, জুতা নিক্ষেপের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে ২০ সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা থাকলেও এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি ওই কমিটি। এর মধ্যে ওই কমিটি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।