নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাইকরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহের কাজ
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০২৬ সালের জুনের মাঝে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা প্রথম তারিখটাকে ধরে নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তারপরও রাজনৈতিক মতৈক্য যেখানে দাঁড়াবে, আমরা সেই মোতাবেক কাজ করবো। নির্বাচনের তারিখটা এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। এখন একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতি চলছে। এখানে রাজনৈতিক ঐক্যের বিষয় রয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ করবো।
ভুয়া ভোটার তালিকার বিষয়ে এক প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সাধারণত তিন ধরনের ভোটার আমাদের বেশি বিবেচ্য। প্রথমটি হচ্ছে মৃত ব্যক্তি যাদের নাম এখনও বাদ যায়নি, তাদের নাম বাদ না দেওয়া। দ্বিতীয়টি হলো যারা বাংলাদেশের নাগরিক নন, প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা করেন। আর তৃতীয় হচ্ছে যদি কোনো কারণে দ্বৈত এনআইডি থাকে, যদিও বা এর সম্ভাবনা কম। এর বাইরেও বয়স হয়নি ভোটার হয়েছে। আমরা এই কারণেই এবার বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হবে। এই তালিকা ছাড়াও হালনাগাদ ও যাচাইকরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
আবুল ফজল বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত যেসব সন্দেহ আছে, সেগুলো দূর করার চেষ্টা করবো। জুন মাস শেষ নাগাদ আমরা এই কার্যক্রম শেষ করতে পারবো। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোটার তালিকা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের সন্দেহের অবকাশ আছে। যাচাইকরণের ফলে রিফাইন্ড তালিকা এসে যাবে, ফলে যারা বাদ পড়েছেন তারা সন্নিবেশিত হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।