গত বছরের ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলায় ১৫ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ১৫ জন নিহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী পুলিশ সদস্য ছিলেন এবং তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে এক নারী পুলিশ সদস্যের ছবিসহ ফেসবুকে প্রচার করা হয় তখনই।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিক নবনীতা চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, ‘থানায় আগুন দেওয়ার পর যে গর্ভবতী মা কাতরাতে কাতরাতে বেরিয়ে এসে বললেন তিনি গর্ভবতী, তিনি কি আর কোনো সন্তান বাড়িতে রেখে এসেছেন?’
রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, গণমাধ্যম সূত্রগুলোতে উক্ত থানায় হামলার ঘটনায় কোনো নারী পুলিশ সদস্য নিহত হননি। এনায়েতপুর থানার হামলা নিয়ে পরবর্তীতে মামলা হলে মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, রেহেনা পারভীন নামে একজন নারী কনস্টেবল শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। তবে তিনি জীবিত আছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রকাশিত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকায় এনায়েতপুর থানার পাশাপাশি পুরো পুলিশ বাহিনীতে কোনো নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি।
আলোচিত ছবির নারী পুলিশ সদস্য পৃথিবী চাকমা বর্তমানে ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে কর্মরত। তিনি নিজে ফেসবুকে পোস্ট করে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি সুস্থ আছেন এবং এনায়েতপুর থানার ঘটনার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
সুতরাং, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গর্ভবতী নারী পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রচারিত ছবির নারীর সঙ্গে উক্ত ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।