ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বহিরাগতদের ধুমপানে নিষেধ করায় যশোর এমএম কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ধূমপান করতে নিষেধ করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারপিট করা হয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে কলেজের আসাদ হল সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। দুই ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) জুয়েল ইমরান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। শিক্ষার্থীরা সবাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শহীদ আসাদ হল এলাকায় দু’জন বহিরাগত ধূমপান করছিলেন। এ সময় তাদের ধূমপানে নিষেধ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে ওই বহিরাগত দু’জন। খবর পেয়ে আসাদ হল ছাত্রদলের নেতকর্মীরা এগিয়ে আসে। এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় খড়কি এলাকার সাগর নামে একজন তার অনুসারী ৪০ থেকে ৫০ জনকে নিয়ে আসাদ হল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। তখন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ইটপাটকেলে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মারধর এবং আসাদ হলে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় জেলা যুবদল, ছাত্রদল ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের মারপিট ও আসাদ হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপকারীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে সাগর ছিনতাই, মাদক সেবন, বেচাকেনাসহ আশেপাশের ছাত্রাবাসগুলোর সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করত। সোমবার ক্যাম্পাসে কিছু ছেলেকে মারধর করে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

কলেজের অধ্যক্ষ ড.খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, কী হয়েছে আমি বলতে পারছি না। আপনারা সাংবাদিক পাঠিয়ে খবর নেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বহিরাগতদের ধুমপানে নিষেধ করায় যশোর এমএম কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আপডেট সময় ১০:৫১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ধূমপান করতে নিষেধ করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারপিট করা হয়েছে। এই ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে কলেজের আসাদ হল সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। দুই ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) জুয়েল ইমরান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। শিক্ষার্থীরা সবাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শহীদ আসাদ হল এলাকায় দু’জন বহিরাগত ধূমপান করছিলেন। এ সময় তাদের ধূমপানে নিষেধ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করে ওই বহিরাগত দু’জন। খবর পেয়ে আসাদ হল ছাত্রদলের নেতকর্মীরা এগিয়ে আসে। এ নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় খড়কি এলাকার সাগর নামে একজন তার অনুসারী ৪০ থেকে ৫০ জনকে নিয়ে আসাদ হল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। তখন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ইটপাটকেলে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মারধর এবং আসাদ হলে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় জেলা যুবদল, ছাত্রদল ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের মারপিট ও আসাদ হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপকারীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে সাগর ছিনতাই, মাদক সেবন, বেচাকেনাসহ আশেপাশের ছাত্রাবাসগুলোর সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করত। সোমবার ক্যাম্পাসে কিছু ছেলেকে মারধর করে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

কলেজের অধ্যক্ষ ড.খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, কী হয়েছে আমি বলতে পারছি না। আপনারা সাংবাদিক পাঠিয়ে খবর নেন।