অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জামায়াতিকরণ করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘১/ ১১ -এর সরকারকে বলা হতো সেনাসমর্থিত সরকার।
বর্তমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সরকারকে বলা হয় একটি বিশেষ দল সমর্থিত সরকার। এ সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জামায়াতিকরণ করে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওই দলটির লোকেরা হচ্ছে প্রধান। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ১ নম্বর প্রকৌশলী ছাত্রদল করত।
তাকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়নি। সেখানে ৫ নম্বর ব্যক্তিকে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়েছে। কারণ, সে ওই বিশেষ দলের সদস্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রশাসনের সর্বত্র এখনো ফ্যাসিবাদের লোকেরা বহাল তবিয়তে রয়েছে।
তাদের কাজ হচ্ছে শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা।’
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) বলছে, রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এগুলো তো হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি।এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। আর গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে, আলোচনা-সমালোচনা, তীব্র সমালোচনা হবে এবং সরকার সব শুনবে।
এর পরে জনকল্যাণের পক্ষে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষিপ্রতার সাথে বাস্তবায়ন করবে। এটাই তো সরকার।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসনের সচিবের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনা এসেছে। তারপরও সে কি করে বহাল থাকে? এধরণের একটা ঘটনা জানার পরেও, উনি কি করে জনপ্রশাসনের সচিব হিসেবে রয়েছেন।