ভোলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দু’পক্ষের হামলায় পুড়ে গেছে ৫টি সিএনজি ও ১টি বাস। ভাঙচুর করা হয়েছে কমপক্ষে ২০ টি সিএনজি। বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থা থমথমে বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠানো করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাংবাদিক টিপু সুলতান, গিয়াস উদ্দিন (৩৫) সালাউদ্দিন (৩৫), নুরুল আমিন (৬৫), রাকিব (২৮), সুমন (২২), সোহেল (৩৫) নাম পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা জানান, পৌর সভার নির্দেশ অনুযায়ী সিএনজি মালিকদের আমরা স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি সরিয়ে নিতে বলেছি। এ কারণে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সিএনজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন বলেন, এ ঘটনা বাস মালিক সমিতির পরিকল্পিত। আগে বাস সরিয়ে নিয়ে আমাদের সিএনজির উপরে তারা আগুন দেয়। আমরা সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকাডাকি করার পরেও তারা গেট বন্ধ করে দেয় এবং আমাদের সিএনজির আগুন নেভায় নাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার সরকার বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কতজন হতাহত হয়েছে আমরা এখনো নিরূপণ করতে পারিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভোলার জেলার প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফুল হক।