ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বঞ্চিত বিষয়গুলোতে ভারতকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বললেন বিজিবির ডিজি মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতি সফল হবে না বললেন রিজভী স্বাধীনতার সঙ্গে অন্যকিছু সমকক্ষ করা ঠিক হবে না বললেন সালাহউদ্দিন ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজনের লাশ উত্তোলন দাফনের ৫ মাস পর  তারেক রহমানের শোক সাবেক এমপি মোমিনের মৃত্যুতে । শিবলী রুবাইয়াতসহ আরও ৯ জনের পাসপোর্ট বাতিল। বর্ডারে বাংলাদেশিদের হত্যা সীমান্ত সম্মেলনের প্রধান এজেন্ডা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সরকারি সেবাকে জনবান্ধব করতে হবে বললেন প্রধান তথ্য অফিসার সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা জানালেন প্রেসসচিব ইজতেমায় আগের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বললেন আইজিপি
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শেখ হাসিনা রাষ্ট্র থেকে নীতি-নৈতিকতা উপড়ে ফেলেছেন বললেন রিজভী

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে নীতি-নৈতিকতা একেবারে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, মাউশি বলেছে, রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এগুলো তো হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি। হাসিনা সরকার এবং রাষ্ট্রকে এক করে দিয়েছে। এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। আর গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে, আলোচনা-সমালোচনা, তীব্র সমালোচনা হবে এবং সরকার সব শ্রবণ করবে। এরপর জনকল্যাণের পক্ষে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সেই সিদ্ধান্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবে, এটাই তো সরকার। এরপর হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের বিরোধিতা অপরাধমূলক, কিন্তু সরকারের বিরোধিতা তো অপরাধমূলক নয়।

তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যত সমালোচনা হবে, সেই সরকার যদি সৎ এবং জনগণের মুখাপেক্ষীর সরকার হয়, তাহলে তো সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাবে। অথচ মাউশি বলে দিলো সরকার এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। জনপ্রশাসনের সচিবের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনা এসেছে। তারপরও সে কী করে সেখানে বহাল থাকে? এ ধরনের একটা ঘটনা জানার পরেও, উনি কী করে জনপ্রশাসনের সচিব হিসেবে রয়েছেন?

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকার হওয়ার কথা ছিল। সমস্ত দোসরদের উৎপাটন করে জনগণের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছিল, তাদের দিয়েই তো প্রশাসন চলার কথা। কিন্তু সেই দোসররা আবার সচিবালয়ের ভেতর মিছিল করে, দাবি-দাওয়া পেশ করে। তারা মনে করছে এটা তাদের ন্যায্য পাওনা। পৃথিবীর বহু দেশে বিপ্লবের পরে নতুন কাঠামো তৈরি করে সেখানে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা হয়েছে। আজ কী করে সচিবালয়ের ভেতরে সেই পুরোনো দোসরদের লোকেরা আন্দোলন করে এবং ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়? এটাতো জনগণ প্রত্যাশা করেনি। এই সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করল, গণবিরোধী আমলাদের পরামর্শে এটা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাষ্ট্র সমাজ থেকে নীতি নৈতিকতা একেবারে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এত জায়গা জমি লাগবে কেন? ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করতে হবে কেন? কিন্তু তিনি করেছেন। এগুলো যদি না করতেন, তাহলে টিকে থাকতে পারতেন। তাকে পালাতে হতো না। কারণ, ওনার মনের মধ্যে তো ভয় আছে। তিনি আয়নাঘর করেছেন, ক্রসফায়ার করেছেন। শুধুমাত্র তার পথের কাঁটা সরানোর জন্য এগুলো করেছেন। ছেলের জন্য, আত্মীয়-স্বজনদের জন্য কাঠার পর কাঠা সরকারি প্লট আত্মসাৎ করেছেন। সরকারি প্লট যাদের আছে, তারা বাড়ি-ঘর নিতে পারে না। ওদের প্রত্যেকেরই বাড়ি-ঘর আছে। পূর্বাচলে নাকি টিউলিপেরও জমি আছে, যে কিনা ব্রিটেনের এমপি এবং মন্ত্রী ছিলেন। উন্নত দেশে থেকে,  উন্নত নৈতিকতার মানুষ হয়েও রক্তের যে ধারা রয়েছে, সেখানে থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জুলাই-আগস্টে যে জনস্রোতের তারল্য সৃষ্টি হয়েছে, এর ভিত্তি রচনা করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে কখনোই আপস করেননি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বঞ্চিত বিষয়গুলোতে ভারতকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বললেন বিজিবির ডিজি

শেখ হাসিনা রাষ্ট্র থেকে নীতি-নৈতিকতা উপড়ে ফেলেছেন বললেন রিজভী

আপডেট সময় ০৪:০৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে নীতি-নৈতিকতা একেবারে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, মাউশি বলেছে, রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এগুলো তো হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি। হাসিনা সরকার এবং রাষ্ট্রকে এক করে দিয়েছে। এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। আর গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে, আলোচনা-সমালোচনা, তীব্র সমালোচনা হবে এবং সরকার সব শ্রবণ করবে। এরপর জনকল্যাণের পক্ষে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সেই সিদ্ধান্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবে, এটাই তো সরকার। এরপর হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের বিরোধিতা অপরাধমূলক, কিন্তু সরকারের বিরোধিতা তো অপরাধমূলক নয়।

তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যত সমালোচনা হবে, সেই সরকার যদি সৎ এবং জনগণের মুখাপেক্ষীর সরকার হয়, তাহলে তো সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাবে। অথচ মাউশি বলে দিলো সরকার এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। জনপ্রশাসনের সচিবের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনা এসেছে। তারপরও সে কী করে সেখানে বহাল থাকে? এ ধরনের একটা ঘটনা জানার পরেও, উনি কী করে জনপ্রশাসনের সচিব হিসেবে রয়েছেন?

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকার হওয়ার কথা ছিল। সমস্ত দোসরদের উৎপাটন করে জনগণের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছিল, তাদের দিয়েই তো প্রশাসন চলার কথা। কিন্তু সেই দোসররা আবার সচিবালয়ের ভেতর মিছিল করে, দাবি-দাওয়া পেশ করে। তারা মনে করছে এটা তাদের ন্যায্য পাওনা। পৃথিবীর বহু দেশে বিপ্লবের পরে নতুন কাঠামো তৈরি করে সেখানে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা হয়েছে। আজ কী করে সচিবালয়ের ভেতরে সেই পুরোনো দোসরদের লোকেরা আন্দোলন করে এবং ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়? এটাতো জনগণ প্রত্যাশা করেনি। এই সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করল, গণবিরোধী আমলাদের পরামর্শে এটা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাষ্ট্র সমাজ থেকে নীতি নৈতিকতা একেবারে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এত জায়গা জমি লাগবে কেন? ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করতে হবে কেন? কিন্তু তিনি করেছেন। এগুলো যদি না করতেন, তাহলে টিকে থাকতে পারতেন। তাকে পালাতে হতো না। কারণ, ওনার মনের মধ্যে তো ভয় আছে। তিনি আয়নাঘর করেছেন, ক্রসফায়ার করেছেন। শুধুমাত্র তার পথের কাঁটা সরানোর জন্য এগুলো করেছেন। ছেলের জন্য, আত্মীয়-স্বজনদের জন্য কাঠার পর কাঠা সরকারি প্লট আত্মসাৎ করেছেন। সরকারি প্লট যাদের আছে, তারা বাড়ি-ঘর নিতে পারে না। ওদের প্রত্যেকেরই বাড়ি-ঘর আছে। পূর্বাচলে নাকি টিউলিপেরও জমি আছে, যে কিনা ব্রিটেনের এমপি এবং মন্ত্রী ছিলেন। উন্নত দেশে থেকে,  উন্নত নৈতিকতার মানুষ হয়েও রক্তের যে ধারা রয়েছে, সেখানে থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জুলাই-আগস্টে যে জনস্রোতের তারল্য সৃষ্টি হয়েছে, এর ভিত্তি রচনা করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে কখনোই আপস করেননি।