সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, বড়ভিটা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান, খয়বর রহমানের ছেলে মুসা, জয়মত আলীর ছেলে শাহারুল, আবু বক্করের ছেলে মোকছেদুল হক, চন্দ্রখানা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে বাবু, আবদুল জলিল, জিয়াউর রহমান আহত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলামের নেতৃত্ব কয়েকজন নেতা-কর্মী বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মেম্বারদের নিকট হতে ১০ কেজি চালের তালিকায় ভাগ চায়। চালের তালিকা দাবি করায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল গ্রুপের নেতা-কর্মীরা তীব্র নিন্দা জানান এবং নজির হোসেনের ছেলে আরিফুর ইসলামের সমালোচনা করেন। এই সমালোচনার বিষয়টি বড়ভিটা বাজারে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। পরে বিষয়টি নজির হোসেনের ছেলে জানতে পারে এবং সন্ধ্যায় বড়ভিটা বাজারে এসে বিএনপির এক কর্মীকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নান গ্রুপের নেতা-কর্মীরা নজির গ্রুপের সঙ্গে কাটাকাটি এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়।
আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাদল সরদারের নেতৃত্বে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি মাহাবুব মিয়া ভাইয়ের বাবাসহ কিছু মিডিয়া কর্মীদের বের করে দেয়া হয়। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমি বিষয়টি শোনার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বাজারে এসে ইফতার করি। এ সময় বিপক্ষ গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নান মুকুল বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এতে করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সংঘর্ষের ঘটনা দলের প্রতি মানুষের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, চালের তালিকা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে আমি ফোর্সসহ উপস্থিত থেকে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেই। এ সময় কোনো মারামারি ঘটনা ঘটেনি। তবে ইফতারের আগে মারামারিতে আহত হয়েছে কিনা জানা নেই? এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।