চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ৩২ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ওই নারীর বাবা বাদি হয়ে প্রীতম চন্দ্র দাসকে (২২) আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, ওই ইউনিয়নের পাতানিশ গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী যুবতি মেয়েটির মা নেই। সে শারিরিক ও বাক প্রতিবন্ধী হলেও দিনের বেলায় বাড়িতে থাকত না। এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়, আবার বাড়িতে চলে আসে এবং মাঝে মধ্যে দুই-একটি কথাও বলে। সে মানুষের কাছ থেকে টাকা ও খাবার হাত পেতে চেয়ে নেয়।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে মেয়েটি তার পাশের গ্রাম ধড্ডা চলে যায় এবং ওই গ্রামে সাইফুল ইসলামের মুদি দোকানে গিয়ে বসে। এসময় প্রীতম চন্দ্র দাস ওই দোকানে আসিলে মেয়েটি তার কাছে হাত পাতলে (সম্ভবত খাবার বা টাকা চায়) সে ১০ টাকা দিবে বলে আশ্বস্ত করে। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় মেয়েটি তার পিছু নেয়।
তিনি বলেন, স্থানীয় এক নারী ধড্ডা সাইফুল ইসলামের মুদি দোকানের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন, পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে আমার মেয়ে ও প্রীতম দাঁড়িয়ে আছেন এবং আমার মেয়েকে সে ১০ টাকা দিচ্ছেন। পরবর্তীতে মেয়ের কথা ও ইশারা-ইঙ্গিত অনুযায়ী বুঝতে পারি, সে (প্রীতম) পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রীতম গা ঢাকা দেন। আমি মেম্বারসহ (ইউপি সদস্য) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। এরপর পুলিশ তাকে আটক করে।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ ও মেডিকেল রিপোর্টের জন্য মেয়েটিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।