ময়মনসিংহ , রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই সনদ যেন প্রতারণার বস্তুতে পরিণত না হয় বললেন আখতার বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বললেন সাদিক রাজনৈতিক বিভেদে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না বললেন সালাহউদ্দিন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফিল্ডিং করছিলেন, আচমকা মাঠেই লুটিয়ে পড়েন প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে গম আসছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে কোনো দুর্নীতি করিনি বললেন ধর্ম উপদেষ্টা মির্জা ফখরুলের আহ্বান নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেওয়ার ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হলে জামায়াতের হবে না কেন বললেন মাসুদ কামাল প্রভাসের ‘ফৌজি’, বাংলা ভাষাতেও মুক্তি পাবে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

থানায় মায়ের অভিযোগ ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে

‘দুই কাঠা জমি আমার শেষ সম্বল। সেই জমিটা বড় ছেলে জোর করে দখল করে নিয়ে গেছে। প্রতিবাদ করায় আমাকে নির্যাতন করে। তার বিরুদ্ধে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। অথচ, সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়া হামিদা আক্তার।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নে আমতলা গ্রামের বাসিন্দা হামিদা আক্তার। ছেলে ও পুত্রবধূর নির্যাতনের শিকার এ মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হামিদা আক্তারের স্বামী সিরাজুল ইসলাম সাত বছর আগে মারা যান। এরপর পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ বন্টন  হয়। এতে বৃদ্ধা হামিদার ভাগ্যে জোটে মাত্র ২০ শতাংশ জমি। বড় ছেলে মোস্তফা ও তার স্ত্রী সুলতানা মায়ের জমিটুকু দখল করে নিয়ে যায়। জমি ফেরত চাইলে ওই দম্পতি বৃদ্ধাকে হেনস্তা ও মারধর করে। গত ২৬ এপ্রিল বৃদ্ধা হামিদা আক্তার বাদী হয়ে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

সম্প্রতি এ জমি নিয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছায়। বড় ছেলের স্ত্রী সুলতানা বৃদ্ধা হামিদাকে মারতে গেলে ছোট ছেলে  রুস্তম বাধা দেয়। এতে দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আহত হয় বড় ছেলে মোস্তফা। পরে মোস্তফা কেন্দুয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ দ্রুত রুস্তমকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

হামিদা আক্তার বলেন, ‘আমি বিচার পাচ্ছি না। আমাকে মারধর করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার নিরপরাধ ছোট ছেলে রুস্তমকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমি শেষ বয়সে মাথা গোঁজার জমিটুকু ফেরত চাই। আমি বিচার চাই, বাঁচতে চাই।’

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সফিউল ইসলাম বলেন, ‘মারধরের প্রমাণ মেলেনি। শুধু পারিবারিক ঝগড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার মায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনো নির্যাতন করা হয়নি তাকে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই সনদ যেন প্রতারণার বস্তুতে পরিণত না হয় বললেন আখতার

থানায় মায়ের অভিযোগ ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১২:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

‘দুই কাঠা জমি আমার শেষ সম্বল। সেই জমিটা বড় ছেলে জোর করে দখল করে নিয়ে গেছে। প্রতিবাদ করায় আমাকে নির্যাতন করে। তার বিরুদ্ধে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। অথচ, সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়া হামিদা আক্তার।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নে আমতলা গ্রামের বাসিন্দা হামিদা আক্তার। ছেলে ও পুত্রবধূর নির্যাতনের শিকার এ মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হামিদা আক্তারের স্বামী সিরাজুল ইসলাম সাত বছর আগে মারা যান। এরপর পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ বন্টন  হয়। এতে বৃদ্ধা হামিদার ভাগ্যে জোটে মাত্র ২০ শতাংশ জমি। বড় ছেলে মোস্তফা ও তার স্ত্রী সুলতানা মায়ের জমিটুকু দখল করে নিয়ে যায়। জমি ফেরত চাইলে ওই দম্পতি বৃদ্ধাকে হেনস্তা ও মারধর করে। গত ২৬ এপ্রিল বৃদ্ধা হামিদা আক্তার বাদী হয়ে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

সম্প্রতি এ জমি নিয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছায়। বড় ছেলের স্ত্রী সুলতানা বৃদ্ধা হামিদাকে মারতে গেলে ছোট ছেলে  রুস্তম বাধা দেয়। এতে দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আহত হয় বড় ছেলে মোস্তফা। পরে মোস্তফা কেন্দুয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ দ্রুত রুস্তমকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

হামিদা আক্তার বলেন, ‘আমি বিচার পাচ্ছি না। আমাকে মারধর করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার নিরপরাধ ছোট ছেলে রুস্তমকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমি শেষ বয়সে মাথা গোঁজার জমিটুকু ফেরত চাই। আমি বিচার চাই, বাঁচতে চাই।’

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সফিউল ইসলাম বলেন, ‘মারধরের প্রমাণ মেলেনি। শুধু পারিবারিক ঝগড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার মায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনো নির্যাতন করা হয়নি তাকে।’