ময়মনসিংহ , শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আর কখনও পচা নির্বাচন করব না বললেন ইসি সানাউল্লাহ ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দলই পিআর চায় বললেন জামায়াত নেতা তাহের জামায়াত ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ে জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে না বললেন শফিকুর রহমান নতুন বাংলাদেশে গৎবাঁধা রাজনীতির দিন শেষ বললেন আমীর খসরু আজ কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলন সারাদেশে ২৮৫৭ মণ্ডপের নিরাপত্তায় ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন দুর্গাপূজা উপলক্ষে আসিফ আকবর বিসিবির নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন টাঙ্গাইল সদরে কর্মায়নের বিনামূল্যে উন্নত চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ৩ নম্বর সতর্কসংকেত চার সমুদ্রবন্দরে পূর্ণ সমর্থন ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিশ্ব নেতাদের
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ঢাকাইয়া আকবর’ মারা গেছেন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২০:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় শত শত দর্শনার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর মারা গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গুলিবিদ্ধ আলী আকবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। লাশ মর্গে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী পূর্ব মসজিদ জব্বার সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ মঞ্জুরের ছেলে। পুলিশের ধারণা, প্রতিপক্ষের লোকজন ঢাকাইয়া আকবরকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে।

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পতেঙ্গা থানার সৈকতের পশ্চিম পয়েন্টে আকবর গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ আকবরকে উদ্ধার করে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকাইয়া আকবর একজন মহিলা এবং চারজন ছেলেকে নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান। সৈকতের পশ্চিম পয়েন্টের ২৮ নম্বর দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা। এ সময় মোটরসাইকেলে করে চারজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে একজন আকবরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় আকবর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কারাবন্দী ছোট সাজ্জাদ ও ঢাকাইয়া আকবর অপরাধ জগতে একজন আরেকজনের প্রতিদ্বন্দ্বী। একে অপরের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে পুলিশে দেওয়ার পেছনেও ঢাকাইয়া আকবরের হাত রয়েছে এমন ধারণা সাজ্জাদের। সেই ক্ষোভ থেকেই আকবরকে হত্যার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। যদিও পুলিশ এখনো হামলাকারী কারা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করতে পারেনি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আর কখনও পচা নির্বাচন করব না বললেন ইসি সানাউল্লাহ

শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ঢাকাইয়া আকবর’ মারা গেছেন

আপডেট সময় ১১:২০:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় শত শত দর্শনার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর মারা গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গুলিবিদ্ধ আলী আকবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। লাশ মর্গে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী পূর্ব মসজিদ জব্বার সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ মঞ্জুরের ছেলে। পুলিশের ধারণা, প্রতিপক্ষের লোকজন ঢাকাইয়া আকবরকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে।

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পতেঙ্গা থানার সৈকতের পশ্চিম পয়েন্টে আকবর গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ আকবরকে উদ্ধার করে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকাইয়া আকবর একজন মহিলা এবং চারজন ছেলেকে নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান। সৈকতের পশ্চিম পয়েন্টের ২৮ নম্বর দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা। এ সময় মোটরসাইকেলে করে চারজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে একজন আকবরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় আকবর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কারাবন্দী ছোট সাজ্জাদ ও ঢাকাইয়া আকবর অপরাধ জগতে একজন আরেকজনের প্রতিদ্বন্দ্বী। একে অপরের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে পুলিশে দেওয়ার পেছনেও ঢাকাইয়া আকবরের হাত রয়েছে এমন ধারণা সাজ্জাদের। সেই ক্ষোভ থেকেই আকবরকে হত্যার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। যদিও পুলিশ এখনো হামলাকারী কারা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করতে পারেনি।