বলা হয়েছে, আদালতে আসামি হাজির করার ক্ষেত্রে প্রায়ই ঘটে হামলার ঘটনা। যা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
গেল বছরের ১৪ আগস্ট রিমান্ড শুনানির জন্য ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে হামলা, ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয় তাদের ওপর। একইভাবে আদালত প্রাঙ্গণে হেনস্থার শিকার হন সাবেক এমপি মমতাজ বেগম, দীপু মন্ত্রী, হাসানুল হক ইনু, গণমাধ্যমকর্মী শাকিল-রূপাসহ অনেকে।
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. তারেক জুবায়ের বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে আমাদের অনেক ফোর্স মোতায়েন করতে হয়। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে সাধারণের একটা জনরোষও থাকে। নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে আদালতে এ পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ আসামিদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ৬ আগস্ট ভার্চুয়াল শুনানির আদেশ সাক্ষর করেছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মুস্তাফিজুর রহমান। আদেশমতে, কারাগারে রেখেই জঙ্গি, ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে অভিযুক্তদের মামলার শুনানি করা হবে।
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বলেন,আসামিদের সুরক্ষা এবং আদালতের সময় বাঁচানোর জন্য এই আসামিদের আদালতে উপস্থিত না করেই শুনানির মাধ্যমেই তাদের জামিন ও অন্যান্য বিষয় নিষ্পত্তির জন্য মাননীয় আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।
ভার্চুয়াল শুনানির জন্য ঢাকার সিএমএম আদালতের ২৮ নম্বর এজলাস কক্ষ ডিজিটাল কোর্ট রুম হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই এই পদ্ধতিতে শুনানি শুরু হবে বলে জানান আইনজীবীরা।