ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকতে পারে বললেন মঈন খান একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বললেন সালাহউদ্দিন ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন জানালেন এনবিআর ‘নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপশক্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ হট্টগোলের পর অবশেষে শপথ নিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি বললেন ড. মঈন থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু যুবদল-শিবির সংঘর্ষের দুদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা নোয়াখালীতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনির আরও ৩০ লাশ হস্তান্তর

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি লাশে নির্যাতনের সুস্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে। 

গত বুধবার (২২ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (ICRC)-এর মাধ্যমে এই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বেশ কিছু লাশে মারধরের আঘাত, বাঁধা হাত এবং চোখে কাপড় বাঁধা থাকার মতো নির্যাতনের পরিষ্কার চিহ্ন দেখা গেছে।’ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল মোট ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৫৭টি লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলের বছরের পর বছর ধরে চলা অবরোধ এবং গাজার পরীক্ষাগারগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে ফরেনসিক পরীক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় পরিবারগুলো বাকি থাকা শারীরিক চিহ্ন বা পোশাকের ওপর ভিত্তি করে তাদের স্বজনদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে।

ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু রিট্রিভ মার্টার্স’ বডিস-এর তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের হাতে ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ছিল। এছাড়া, হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ ইসরায়েলের কুখ্যাত সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে গাজার প্রায় ১,৫০০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ আটকে রেখেছে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তির প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের আংশিক সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরিকল্পনায় আরও রয়েছে গাজার পুনর্গঠন এবং হামাসকে বাদ দিয়ে একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের ‘গণহত্যা যুদ্ধে’ এ পর্যন্ত মোট ৬৮,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১,৭০,৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল

ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনির আরও ৩০ লাশ হস্তান্তর

আপডেট সময় ১০:০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং এদের মধ্যে কয়েকটি লাশে নির্যাতনের সুস্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে। 

গত বুধবার (২২ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (ICRC)-এর মাধ্যমে এই লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বেশ কিছু লাশে মারধরের আঘাত, বাঁধা হাত এবং চোখে কাপড় বাঁধা থাকার মতো নির্যাতনের পরিষ্কার চিহ্ন দেখা গেছে।’ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল মোট ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৫৭টি লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলের বছরের পর বছর ধরে চলা অবরোধ এবং গাজার পরীক্ষাগারগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে ফরেনসিক পরীক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় পরিবারগুলো বাকি থাকা শারীরিক চিহ্ন বা পোশাকের ওপর ভিত্তি করে তাদের স্বজনদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে।

ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু রিট্রিভ মার্টার্স’ বডিস-এর তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলের হাতে ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ছিল। এছাড়া, হারেৎজ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ ইসরায়েলের কুখ্যাত সদে তেইমান সামরিক ঘাঁটিতে গাজার প্রায় ১,৫০০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ আটকে রেখেছে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। চুক্তির প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের আংশিক সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরিকল্পনায় আরও রয়েছে গাজার পুনর্গঠন এবং হামাসকে বাদ দিয়ে একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের ‘গণহত্যা যুদ্ধে’ এ পর্যন্ত মোট ৬৮,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১,৭০,৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।