ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট বানচালের ‘সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “যে আঘাতই আসুক, কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।”
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা–বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের হামলার চেষ্টা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করব।”
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যে করেই হোক, দ্রুততম সময়ে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।” তিনি দেশবাসীকে হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনায় প্রার্থনার আহ্বান জানান।
বৈঠকে পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, হামলার স্থানের সিসিটিভি ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দেন, “হামলাকারীরা যেন কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে না পারে—সীমান্তে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে যারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন এবং সম্ভাব্য টার্গেটে থাকতে পারেন, তাদের নিরাপত্তা বিশেষভাবে নিশ্চিত করতে হবে।”
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— নির্বাচনকালীন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি বিশেষ হটলাইন চালু করা হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের সম্ভাব্য আস্তানায় অভিযান আরও জোরদার হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আইন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য, জ্বালানি, স্থানীয় সরকার, সংস্কৃতি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল ডেস্ক 

























