১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় ইয়াংছা বাজারে ভয়াবহ আগুনে ৮টি দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে ৩ জন আহত হয়। আহতদের লামাও চকরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টার দিকে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইয়াংছা বাজারে একটি জ্বালানি তেলের দোকান থেকে অগ্নিকাশ্মের সূত্রপাত ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন, জ্বালানি তেলের দোকানদার এনায়েত উল্লাহ, সারের দোকানদার মোঃ শাহাবুদ্দিন, সেলুন দোকানদার সুজন কর্মকার, কুলিং কর্ণার মালিক মোঃ ইউছুপ, ভাই ভাই হোটেলের মালিক শুরুল আমিন, মুরগির দোকানের মালিক সুনীল কান্তি দাশ, সেফা হোমিও হলের মালিক ডাঃ আব্দুল আজিজ এবং বসতবাড়ির মালিক মোঃ রফিক। আহতরা হলেন, ভেলের দোকানদার এনায়েত উল্লাহ (৪৮), বদিউল আলমের ছেলে মোঃ শাহাবুদ্দিন (২৭) এবং আবু সিদ্দিকের ছেলে মোঃ ইউছুপ (২০)। আগুনে ৭টি দোকান ও ১টি বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নূরুল হোসাইন বলেন, ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রায় ৮টি দোকান ও বসতবাড়ির সব মালামাল পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের হিসাবে আগুনের ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে আরো সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতি হওয়া ৮ দোকানের মালিকরা দাবী করেন তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
ইয়াংছা বাজার পুড়ে যাওয়া দোকান ঘর দেখতে ছুঁটে যান লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল, ইউএনও শান্তনু কুমার দাশ, পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল,ফাঁসিয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন চৌধুরী,পাশ্ববর্তী সুরাজপুর মানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজিমুল হক সহ অনেকেই।
ইয়াংছা বাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান ঘর ও বাড়ি দেখতে গেলেন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ও নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল….