বিএনপির সঙ্গে ছাত্রনেতাদের অথবা গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘এটি গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও তাদের দোসরদের কতটা উৎসাহিত ও বেপরোয়া করে তুলতে পারে তার কিছুটা প্রমাণ আমরা গত কয়েক দিনে পেয়েছি।’
আসিফ নজরুল আজ সোমবার ফেসবুকে দেওয়ার এক পোস্টে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেছেন, তিনি যতটুকু জানেন আর বিশ্বাস করেন, তার মধ্যে একটি হলো, বিএনপি ও ছাত্রনেতারা নির্বাচনকেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার বিষয়েও অনাগ্রহী নন। এর ধরন ও ফর্মুলা আলোচনা সাপেক্ষ।
এ পর্যায়ে আসিফ নজরুল তিনি যতটুকু জানেন আর বিশ্বাস করেন—এমন পাঁচটি বিষয় লিখেছেন। সেগুলো হলো—
খ. ছাত্রনেতারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না বা এতে যোগ দিতে যাচ্ছেন না।
গ. জুলাই ঘোষণাপত্র হবে একটি রাজনৈতিক দলিল এবং এটি প্রণয়নে গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মতামত আন্তরিকভাবে প্রতিফলনের ইচ্ছা ছাত্রনেতাদের রয়েছে।
ঘ. বিএনপি ও ছাত্রনেতারা নির্বাচনকেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার বিষয়েও অনাগ্রহী নন। এর ধরন ও ফর্মুলা আলোচনা সাপেক্ষ।
আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘তাই বিরোধের কোনো কারণ নেই। সবাইকে বরং বুঝতে হবে ঐক্য ছাড়া আমাদের বিকল্প নেই। গণহত্যাকারীদের দল আওয়ামী লীগের হাতে রয়েছে লুটের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা, অনেক অন্ধ স্তাবক ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক, তাদের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাশালী ভিন্ন রাষ্ট্র। এদের রুখতে হলে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে মনে রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
‘আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে। কিন্তু তা বাংলাদেশের শত্রুদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হয়ে ওঠার পর্যায়ে যেন না যায়।’