অনেকের সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাশি শুরু হয়, যা দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে। কিন্তু এই ধরণের কাশির পেছনে থাকতে পারে কিছু মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, যদি কাশি টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চলুন, জেনে নিই সকালের কাশির সম্ভাব্য কারণ ও কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)
এই রোগে ফুসফুসের শ্বাসনালী সরু ও শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে। সকালের ঠাণ্ডা বাতাস বা দূষণের কারণে এই সমস্যা আরো বাড়ে। কার্বন ডাই-অক্সাইড শরীর থেকে ঠিকমতো বের না হলে কাশির প্রবণতা বাড়ে।
হাঁপানি
হাঁপানির রোগীদের জন্য সকালের ঠাণ্ডা ও দূষিত বাতাস একধরনের ট্রিগার হিসেবে কাজ করে।এতে শ্বাসকষ্ট ও কাশি বাড়ে।
ব্রঙ্কাইটিস
এটি ব্রঙ্কিয়াল টিউবের প্রদাহজনিত সমস্যা। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় শ্লেষ্মা সহ কাশি দেখা দেয়, যা দিনে ধীরে ধীরে কমে আসে।
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ
এটি হজমের সমস্যা, যাতে পাকস্থলীর অ্যাসিড গলা বা ফুসফুস পর্যন্ত উঠে আসে। এর ফলে গলা জ্বালা করে এবং সকালে কাশি হয়। বুক জ্বালা, টক ঢেকুরও এর উপসর্গ।
চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন?
যদি কাশি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, বা নিচের যেকোনও একটি উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন:
১। কাশির সঙ্গে রক্ত আসা
২।সকষ্ট বা হাঁপানি (শিসের মতো শব্দ)
৩। বুকে ব্যথা
৪। ঘন ঘন ঘুমের ব্যাঘাত
৫। অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা ওজন কমে যাওয়া
সকালের কাশি হালকা কোনও সমস্যা নাও হতে পারে। এটি অন্য কোনও বড় অসুস্থতার ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই উপসর্গগুলো নজরে রেখে প্রয়োজন হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।
সূত্র : এবিপি