ময়মনসিংহ , শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তারেক রহমান ‘নিজে’ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বললেন আমীর খসরু বুলেটটি শুধু হাদির মাথায় নয়, গণঅভ্যুত্থানের বুকে করা হয়েছে বললেন সারজিস নালিতাবাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে করাতকল সিলগালা জেলা নির্বাচন অফিসে দুর্বৃত্তের আগুন লক্ষ্মীপুর, পুড়লো গুরুত্বপূর্ণ নথি ডাক্তারের আবেগঘন স্ট্যাটাস হাদিকে নিয়ে একই ঘর থেকে দুই জন অচেতনসহ এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার বরিশালে ঢাকার সকাল ১৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শুরু , শুষ্ক থাকবে দিনভর বহুতল ভবনে আগুন কেরানীগঞ্জে, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের ধরতে ওসমান হাদির ওপর হামলা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বললেন প্রধান উপদেষ্টা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

১৮ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১০:২০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

১৮ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে

খন্দকার আব্দুল আলীম,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১৮ বছর ধরে সেতু নির্মাণ প্রস্তাব ফাইল বন্দি হয়ে পরে আছে। ফলে ওই পথে যাতায়াতকারী ১৫ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

২০০৭ সালে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়ায় খালের উপর সেতু ভেঙ্গে খালে পরে যায়। এরপর গত ১৮ বছরে ও বিধ্বস্ত সেতুটি আর নির্মাণ করা হয়নি। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতশত মানুষকে।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কবিরাজপাড়া ও পুটলপাড়া রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১৫ গ্রামের শতশত মানুষ এ পথে যাতায়াত করে থাকেন। এ রাস্তায় মালিঝি নদী থেকে নেমে আসা একটি খাল পথচারীদের দুর্ভোগের কারন হয়ে দাঁড়ায় দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাগবে ২০০৭ সালে এলজিইডি এ খালের উপর একটি সেতু নির্মান করে। কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই বিধ্বস্ত হয়ে পরে।
ওই এলাকার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলী বেগন, গ্রামের ইয়াদ আলী, নুর মোহাম্মদ, আব্দুল করিম, মো. আসাদুলসহ গ্রামবাসীরা জানান, সেতুটি নির্মাণের সময় ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রয়োগ করায় নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে খালে পারে যায়। এতে এসব গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছরেও ওই স্থানে আর নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়নি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে উক্ত প্রস্তাব ফাইল বন্দি হয়ে পরে আছে। এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াতের স্বার্থে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্স্থাপনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওই বিধ্বস্ত সেতুর পাশ দিয়ে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুটির অবস্থাও নরবড়ে হয়ে পরেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে নড়বড়ে সেতুটি জুরাতালি দিয়ে কোনরকমে যোগাযোগ ব্যবস্তা চালু রাখা হলেও হালকা ২/৪ জন লোক চলাচল ছাড়া আর কিছুই পাড়াপাড় করা সম্ভব হয় না। এখানে একটি সেতু নির্মাণের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব গ্রামের শতশত মানুষের। এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদি পশু পারাপারে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ গ্রামবাসীরা বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মানের জন্য গত একযুগের ও বেশি সময় ধরে বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু একযুগের বেশি সময় ধরে ও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে বিধ্বস্ত সেতুর পাশে কাঠের নড়বড়ে সেতুটি সংস্কারের জন্য এডিপির অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব প্রেরণ করা আছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই সেতু নির্মাণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমান ‘নিজে’ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বললেন আমীর খসরু

১৮ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় ১০:২০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

১৮ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে

খন্দকার আব্দুল আলীম,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১৮ বছর ধরে সেতু নির্মাণ প্রস্তাব ফাইল বন্দি হয়ে পরে আছে। ফলে ওই পথে যাতায়াতকারী ১৫ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

২০০৭ সালে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়ায় খালের উপর সেতু ভেঙ্গে খালে পরে যায়। এরপর গত ১৮ বছরে ও বিধ্বস্ত সেতুটি আর নির্মাণ করা হয়নি। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতশত মানুষকে।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কবিরাজপাড়া ও পুটলপাড়া রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১৫ গ্রামের শতশত মানুষ এ পথে যাতায়াত করে থাকেন। এ রাস্তায় মালিঝি নদী থেকে নেমে আসা একটি খাল পথচারীদের দুর্ভোগের কারন হয়ে দাঁড়ায় দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাগবে ২০০৭ সালে এলজিইডি এ খালের উপর একটি সেতু নির্মান করে। কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই বিধ্বস্ত হয়ে পরে।
ওই এলাকার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইলী বেগন, গ্রামের ইয়াদ আলী, নুর মোহাম্মদ, আব্দুল করিম, মো. আসাদুলসহ গ্রামবাসীরা জানান, সেতুটি নির্মাণের সময় ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রয়োগ করায় নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে খালে পারে যায়। এতে এসব গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছরেও ওই স্থানে আর নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়নি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে, ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে উক্ত প্রস্তাব ফাইল বন্দি হয়ে পরে আছে। এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াতের স্বার্থে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্স্থাপনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওই বিধ্বস্ত সেতুর পাশ দিয়ে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুটির অবস্থাও নরবড়ে হয়ে পরেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে নড়বড়ে সেতুটি জুরাতালি দিয়ে কোনরকমে যোগাযোগ ব্যবস্তা চালু রাখা হলেও হালকা ২/৪ জন লোক চলাচল ছাড়া আর কিছুই পাড়াপাড় করা সম্ভব হয় না। এখানে একটি সেতু নির্মাণের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব গ্রামের শতশত মানুষের। এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদি পশু পারাপারে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ গ্রামবাসীরা বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মানের জন্য গত একযুগের ও বেশি সময় ধরে বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু একযুগের বেশি সময় ধরে ও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে বিধ্বস্ত সেতুর পাশে কাঠের নড়বড়ে সেতুটি সংস্কারের জন্য এডিপির অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব প্রেরণ করা আছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই সেতু নির্মাণ করা হবে।