ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ফিটনেসবিহীন গাড়ি সরাতে পিছু হটছে সরকার ধর্মঘটের হুমকিতে ঢাকার প্রতিটি ভবনে সেপটিক ট্যাংক স্থাপন বাধ্যতামূলক বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা নিউইয়র্কে মির্জা ফখরুলকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি বললেন রিজভী এক মেয়ে নিয়ে দুই কিশোরের দ্বন্দ্বে নিরপরাধ আরেক কিশোর খুন সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আগামী নির্বাচন সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করবেন প্রধান উপদেষ্টা বললেন প্রেস সচিব আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে বিএনপির আঁতাত নেই বললেন রিজভী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে পুশইন ঢাকায় নিয়োগ দিচ্ছে মিনিস্টার সোলায়মান সেলিমকে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১১:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • ৪০৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন সংবাদ: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিন। তৎকালীন রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া যে ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধ জাগরণের মহাকাব্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই ভাষণটি বিবিসির জরীপে শ্রেষ্ঠ ১০০ ভাষণের মধ্যে অন্যতম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বাংলার স্বাধীকার আন্দেলনের সর্বশেষ পেরেক ছিলো তৎকালীন পাকাস্তানি শাষকদের কপালে। এ ভাষণেই বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো স্বাধীনতার যুদ্ধে।

১৯৭১ সালের এই দিনের পড়ন্ত বিকেলে বঙ্গবন্ধু সমবেত লাখো মানুষকে সামনে রেখে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণে সেদিন বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরেছেন, তেমনি দেশবাসীর করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এককথায় বলা যায়, এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ’।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ যুদ্ধদিনে মুক্তিসেনাদের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। আজও সেই ভাষণ উজ্জীবিত করে চলেছে বাঙালি জাতিকে। বঙ্গবন্ধুর সেই অমর ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।

সকাল সাতটায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। বিকেল সাড়ে চারটায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘রাজনীতির কালজয়ী মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই ভাষণের মাধ্যমে দেশের শাসনভার জনগণের হাতেই তুলে দেন, ক্ষমতাকে কী করে নিয়ন্ত্রিতভাবে সকলের কল্যাণে ব্যবহার করতে হয়, তা–ও বুঝিয়ে দেন। শিখিয়ে দেন আত্মরক্ষামূলক কিংবা প্রতিরোধক সমরনীতি, যুদ্ধকালীন সরকারব্যবস্থা এবং অর্থনীতি।’

দিবসটিতে আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ সারা দেশে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল সাড়ে ছয়টায় ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করবে আওয়ামী লীগ। সকাল সাতটায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। বিকেল সাড়ে চারটায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে সারা দেশে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের আজ ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফিটনেসবিহীন গাড়ি সরাতে পিছু হটছে সরকার ধর্মঘটের হুমকিতে

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

আপডেট সময় ১১:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

অনলাইন সংবাদ: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিন। তৎকালীন রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া যে ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধ জাগরণের মহাকাব্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই ভাষণটি বিবিসির জরীপে শ্রেষ্ঠ ১০০ ভাষণের মধ্যে অন্যতম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বাংলার স্বাধীকার আন্দেলনের সর্বশেষ পেরেক ছিলো তৎকালীন পাকাস্তানি শাষকদের কপালে। এ ভাষণেই বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো স্বাধীনতার যুদ্ধে।

১৯৭১ সালের এই দিনের পড়ন্ত বিকেলে বঙ্গবন্ধু সমবেত লাখো মানুষকে সামনে রেখে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণে সেদিন বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরেছেন, তেমনি দেশবাসীর করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এককথায় বলা যায়, এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ’।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ যুদ্ধদিনে মুক্তিসেনাদের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। আজও সেই ভাষণ উজ্জীবিত করে চলেছে বাঙালি জাতিকে। বঙ্গবন্ধুর সেই অমর ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।

সকাল সাতটায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। বিকেল সাড়ে চারটায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘রাজনীতির কালজয়ী মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই ভাষণের মাধ্যমে দেশের শাসনভার জনগণের হাতেই তুলে দেন, ক্ষমতাকে কী করে নিয়ন্ত্রিতভাবে সকলের কল্যাণে ব্যবহার করতে হয়, তা–ও বুঝিয়ে দেন। শিখিয়ে দেন আত্মরক্ষামূলক কিংবা প্রতিরোধক সমরনীতি, যুদ্ধকালীন সরকারব্যবস্থা এবং অর্থনীতি।’

দিবসটিতে আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ সারা দেশে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল সাড়ে ছয়টায় ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করবে আওয়ামী লীগ। সকাল সাতটায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। বিকেল সাড়ে চারটায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে সারা দেশে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের আজ ৭ মার্চ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যথাযোগ্য মর্যাদায় কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।