ময়মনসিংহ , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি বললেন জামায়াত আমির মিজানুর রহমান আজহারির উন্মুক্ত মাঠে সকল মাহফিল স্থগিত নির্বাচনের জোয়ার বইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট বললেন প্রেস সচিব দুপক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১৫ নরসিংদীতে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি বললেন আইন উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি বললেন আসিফ নজরুল ইসির গণবিজ্ঞপ্তি নতুন ১৬টি নির্বাচনি পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি চেয়ে কিছু ভুলের জন্য এনসিপিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জিল্লুর রহমান সব উপজেলায় সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম পাঠানোর নির্দেশ ইসির সভা রবিবার এনআইডি ও ভোটার তালিকা নিয়ে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আইএমএফ নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচিত সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিললেই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা। তবে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং নতুন সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ পরিস্থিতি ভালো, ডলার স্থিতিশীল। আইএমএফ-এর নীতিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইএমএফ এখন তাদের শর্ত বাস্তবায়নে চাপ তৈরি করছে। কারণ, নির্বাচনের আগে ঋণ না ছাড়ার অর্থ হলো—বাংলাদেশ শর্ত মানছে না—এমন একটি বার্তা বৈশ্বিক অঙ্গনে দেওয়া। নতুন সরকার এলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরে ঋণ ছাড়তে চায় সংস্থাটি।

এর আগে ২০০১ সালেও নির্বাচন পূর্ব সময়ে আইএমএফ অনুরূপ চাপ প্রয়োগ করেছিল। এমনকি জ্বালানি ও মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে ২০২২ সালে ঋণের শর্তে তেল ও গ্যাসের দামও বাড়াতে বাধ্য করেছিল সরকার। মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলেই দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়।

এদিকে, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় ২৯ অক্টোবর আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। দুই সপ্তাহ তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দাখিল করবে মূল্যায়ন প্রতিবেদন। কিস্তি ছাড়ে এই প্রতিবেদন হবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২১৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক গতি রয়েছে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত। চলতি হিসাবেও ঘাটতি নেই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আইএমএফ-এর কাছে সহায়তা চায় সরকার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা পরবর্তীতে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি বললেন জামায়াত আমির

আইএমএফ নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না

আপডেট সময় ০৯:৪৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নির্বাচিত সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিললেই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা। তবে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং নতুন সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ পরিস্থিতি ভালো, ডলার স্থিতিশীল। আইএমএফ-এর নীতিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইএমএফ এখন তাদের শর্ত বাস্তবায়নে চাপ তৈরি করছে। কারণ, নির্বাচনের আগে ঋণ না ছাড়ার অর্থ হলো—বাংলাদেশ শর্ত মানছে না—এমন একটি বার্তা বৈশ্বিক অঙ্গনে দেওয়া। নতুন সরকার এলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরে ঋণ ছাড়তে চায় সংস্থাটি।

এর আগে ২০০১ সালেও নির্বাচন পূর্ব সময়ে আইএমএফ অনুরূপ চাপ প্রয়োগ করেছিল। এমনকি জ্বালানি ও মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে ২০২২ সালে ঋণের শর্তে তেল ও গ্যাসের দামও বাড়াতে বাধ্য করেছিল সরকার। মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলেই দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়।

এদিকে, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় ২৯ অক্টোবর আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। দুই সপ্তাহ তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দাখিল করবে মূল্যায়ন প্রতিবেদন। কিস্তি ছাড়ে এই প্রতিবেদন হবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২১৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক গতি রয়েছে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত। চলতি হিসাবেও ঘাটতি নেই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আইএমএফ-এর কাছে সহায়তা চায় সরকার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা পরবর্তীতে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।