ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

চোঁখ উঠা ছোঁয়াচে রোগ ; প্রচলিত ধারনা কি সত্যি ?

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১১:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • ১৭৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন সংবাদ: বসন্তের ছোয়ায় তাপমাত্রা, বাতাসে আর্দ্রতায় বাংলাদেশের আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসে। বাতাস শুষ্ক থাকে, ঝরা পাতা বাড়ে। ঋতুবৈচিত্র্যের এসব দিনে চোখের রোগবালাইয়ের আবির্ভাবও ঘটে। এ সময় ফুলের রেণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়। তাতে চোখের অ্যালার্জিসহ চোখ ওঠা রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একে বলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস। এতে চোখ লাল হয়ে যায়, পানি পড়ে, চুলকানি হয়।

  • চোখ ওঠা আসলে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। কনজাংটিভা বা চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা বলা হয়। চোখ ওঠা রোগীর চোখের দিকে তাকালে কারও চোখ ওঠে—এটি কুসংস্কার। তবে এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে রোগ। এতে রোগীর হাতের বা ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সংস্পর্শ আশপাশের অনেককেই আক্রান্ত করতে পারে।

    জেনে নেওয়া যাক এ রোগের লক্ষণসমূহ:

 চোখ ওঠা রোগ হলে প্রথমে চোখের মণির চারপাশে হালকা লাল রং দেখা দেয়। চোখের পাতা ফুলে যায় ও জ্বালাপোড়া করে।

  • চোখের ভেতর অস্বস্তি ও ব্যথা শুরু হয়। রোদ বা আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হয়।
  • চোখ থেকে অতিমাত্রায় পানি পড়ে। চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বের হতে পারে এবং হলুদ রঙের পিঁচুটির সৃষ্টি হয়।

ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা দুটি একত্রে লেগে থাকে।

করণীয়:

  • চোখ উঠলে প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়।
  • পরিষ্কার কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে চোখের কোণে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। যতটা সম্ভব ওই কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে।
  • অন্য চোখেও যাতে রোগ না ছড়ায়, সে জন্য যতটা সম্ভব ভালো চোখটাতে হাত না দেওয়াই উচিত। তবে সাধারণত একই সঙ্গে অথবা পর্যায়ক্রমে দুই চোখই আক্রান্ত হয়।
  • ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যবহার্য জিনিসপত্র, যেমন বালিশের কভার, তোয়ালে ইত্যাদি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

  • এ ধরনের চোখ ওঠায় অ্যান্টিভাইরাল সাধারণত কাজ করে না। ভাইরাস সংক্রমণের সাত থেকে আট দিনের মাথায় আপনা-আপনি সেরে যায়।
  • বাইরে বের হলে অবশ্যই রোদ চশমা পরতে হবে।
  • যে পাশের চোখ উঠবে, সে পাশেই কাত হয়ে শুতে হবে। চোখ বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করা বা পানির ঝাপটা দেওয়ার দরকার নেই।

পরামর্শগুলো দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ এ কে আজাদ, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন, বিভাগীয় প্রধান, চক্ষুরোগ বিভাগ, আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

Admin

doinikmatiomanuss.com

চোঁখ উঠা ছোঁয়াচে রোগ ; প্রচলিত ধারনা কি সত্যি ?

আপডেট সময় ১১:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

অনলাইন সংবাদ: বসন্তের ছোয়ায় তাপমাত্রা, বাতাসে আর্দ্রতায় বাংলাদেশের আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসে। বাতাস শুষ্ক থাকে, ঝরা পাতা বাড়ে। ঋতুবৈচিত্র্যের এসব দিনে চোখের রোগবালাইয়ের আবির্ভাবও ঘটে। এ সময় ফুলের রেণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়। তাতে চোখের অ্যালার্জিসহ চোখ ওঠা রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একে বলে অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস। এতে চোখ লাল হয়ে যায়, পানি পড়ে, চুলকানি হয়।

  • চোখ ওঠা আসলে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। কনজাংটিভা বা চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা বলা হয়। চোখ ওঠা রোগীর চোখের দিকে তাকালে কারও চোখ ওঠে—এটি কুসংস্কার। তবে এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে রোগ। এতে রোগীর হাতের বা ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সংস্পর্শ আশপাশের অনেককেই আক্রান্ত করতে পারে।

    জেনে নেওয়া যাক এ রোগের লক্ষণসমূহ:

 চোখ ওঠা রোগ হলে প্রথমে চোখের মণির চারপাশে হালকা লাল রং দেখা দেয়। চোখের পাতা ফুলে যায় ও জ্বালাপোড়া করে।

  • চোখের ভেতর অস্বস্তি ও ব্যথা শুরু হয়। রোদ বা আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হয়।
  • চোখ থেকে অতিমাত্রায় পানি পড়ে। চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বের হতে পারে এবং হলুদ রঙের পিঁচুটির সৃষ্টি হয়।

ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা দুটি একত্রে লেগে থাকে।

করণীয়:

  • চোখ উঠলে প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়।
  • পরিষ্কার কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে চোখের কোণে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। যতটা সম্ভব ওই কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে।
  • অন্য চোখেও যাতে রোগ না ছড়ায়, সে জন্য যতটা সম্ভব ভালো চোখটাতে হাত না দেওয়াই উচিত। তবে সাধারণত একই সঙ্গে অথবা পর্যায়ক্রমে দুই চোখই আক্রান্ত হয়।
  • ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যবহার্য জিনিসপত্র, যেমন বালিশের কভার, তোয়ালে ইত্যাদি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

  • এ ধরনের চোখ ওঠায় অ্যান্টিভাইরাল সাধারণত কাজ করে না। ভাইরাস সংক্রমণের সাত থেকে আট দিনের মাথায় আপনা-আপনি সেরে যায়।
  • বাইরে বের হলে অবশ্যই রোদ চশমা পরতে হবে।
  • যে পাশের চোখ উঠবে, সে পাশেই কাত হয়ে শুতে হবে। চোখ বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করা বা পানির ঝাপটা দেওয়ার দরকার নেই।

পরামর্শগুলো দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ এ কে আজাদ, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন, বিভাগীয় প্রধান, চক্ষুরোগ বিভাগ, আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।